নকশা জালিয়াতির মামলায় জামিন হয়নি ডোম-ইনোর এমডির
২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:০৭
ঢাকা: নকশা জালিয়াতির মামলায় ডোম-ইনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালামকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন ।
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন একেএম ফারহান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মো. সিরাজুল ইসলাম তৎকালীন ডিআইটি এর নিকট থেকে ১৯৭৪ সনে প্লট নং ৩৮, রোড নং ০২, বনানী আবাসিক এলাকা, ঢাকায় ৫ কাঠা জমি বরাদ্দ নেন। তার মৃত্যুর পর উক্ত প্লটের ওয়ারিশসূত্রে বেগম রোকেয়া ইসলাম, পুত্র মো. এনামুল হক, পুত্র মো. একরামুল হক, মেয়ে আক্তার বানু, মেয়ে নাহিদ আক্তার মালিক হন। ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডোম ইনো প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর সাথে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য এনামুল হকের স্বাক্ষর ছাড়াই চুক্তিপত্র হয়।
পরবর্তীতে ডোম-ইনো প্রোপার্টিজ এর অনুকূলে আমমোক্তার নামার মাধ্যমে ক্ষমতাসহ ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব দেন।
এনামুল হক ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত লন্ডনে বসবাস করেছেন। ডোম-ইনো প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর্কিটেক্ট মো. আবদুস সালামের স্বাক্ষরে এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে রাজউক থেকে অনুমোদন করান। দুদকের সহকারি পরিচালক মো. আলী আকবর ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে ৫ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বনানী থানায় মামলা করে। মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার ও বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সামছুর রহমান, রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মুছলেম উদ্দিন ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী অমিত হাসান।