Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিয়োগ সংক্রান্ত ‘অনিয়ম’ তুলে ধরলেন মাহবুব তালুকদার


২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৪১

ফাইল ছবি

ঢাকা: আবারো আলোচনায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের ‘অনিয়ম’ এর চিত্র তুলে ধরলেন তিনি। বললেন, ‘অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ কার্য্যক্রম প্রশ্নের মুখে সম্মুখীন। ‘অনেক ক্ষেত্রে সচিবালয়ের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে প্রায় সর্বক্ষেত্রেই দায় বহন করতে হয়।’

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক ধরণের স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে। যা সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ও নির্বাচন কমিশন কার্যপ্রণালী বিধিমালা সমর্থন করে না। এজন্য নির্বাচন কমিশন কার্যপ্রণালী বিধিমালা কঠোরভাবে পরিপালন করা আবশ্যক। নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়ের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘গত ১২ নভেম্বর আমি সংবাদ পাই যে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাম্প্রতিক কর্মচারি নিয়োগ পরীক্ষায় ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে বিশদভাবে জানার জন্য আমি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কাছে লিখিতভাবে কিছু তথ্য ও জিজ্ঞাসার জবাব জানতে চাই। ১৪ নভেম্বর আমাকে জানানো হয় যে, হাতের লেখার অমিল বা পরিচয়পত্রের অমিলের কারণে মৌখিক পরীক্ষার সময় ওই ১৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের প্রতারণার দায়ে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আমার এমন প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়−‘মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। কারো কারো কাছ থেকে লিখিত স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ইসি কমিশনার বলেন, আমাকে জানানো হয়, কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ৩৩৯টি শূন্যপদের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ নেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদকে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুমোদন করলেও কতজন পরীক্ষককে কীভাবে এই টাকা দেওয়া হয়, তার কোনো হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। এমনকি নিয়োগ কমিটির সদস্যরাও এ বিষয়ে অবহিত নন। কমিশন সচিবালয় পরীক্ষা সম্পর্কে কিছুই জানে না। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ধরণ বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ।

মাহবুব তালুকদার বলেন, কমিশন সচিবালয় নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেনি। বরং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব উল্লিখিত নিয়োগ বা এতদ সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত বলেও মন্তব্য করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার বক্তব্য সমর্থন করেন। স্বাভাবিক কারণেই নির্বাচন কমিশনাররা গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি ইউ ও নোটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কার্যাদির বিষয়ে কমিশনের এখতিয়ার সম্পর্কে অবহিত হতে চান।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর