আমাদের ভুলে যেন মানুষের সম্মানহানি না হয়: দুদক চেয়ারম্যান
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:১৭
ঢাকা: আমাদের কারও ভুলে যেন কোনো মানুষের সম্মানহানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে দুর্নীতি দুদক কার্যালয়ে ‘ট্রেইনিং অন পাবলিক প্রকিওরমেন্ট অ্যান্ড প্রাকটিসেস ফর এসিসি অফিসিয়াল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি-দীর্ঘসূত্রিতা-প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও বরাদ্ধ বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা অভিযোগ আমরা পেয়ে থাকি। এগুলোর সঠিকতা, স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুদক কর্মকর্তাদের পাবলিক প্রকিওরমেন্ট আইন ও বিধি-বিধান সঠিকভাবে জানার কোনো বিকল্প নেই। না জানার কারণে কোনো অবস্থাতেই একজন সৎ মানুষ যেন মামলার আসামি না হন। এ ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার- প্রকৌশলী-প্রকিওরমেন্ট এন্টিটির যে বা যারা এই প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছেন, কেবল তিনি বা তারাই জবাবদিহি করবেন। অন্য কেউ নন। আমাদের কারও ভুলে যেন কোনো মানুষের সম্মানহানি না হয়।’
এছাড়া তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আইনি ক্ষমতার প্রয়োগ করবেন কিন্তু অপপ্রয়োগ যেন না হয়। মনে রাখবেন আইন সবার জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য।‘
প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, বরাদ্দ বৃদ্ধি এগুলো আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী করার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে কখনো কখনো আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি কিংবা বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সময়মতো জনকল্যাণ হয় না। সময় মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে জনগণ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কীভাবে দুর্নীতি হয় তা আমরা কিছু কিছু জেনেছি। কেউ কেউ অনিয়মকে নিয়ম করতে চান। এটা হবে না। প্রজেক্ট প্রোফাইল থেকে শুরু করে এস্টিমেশন এবং সর্বোপরি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ নির্ধারিত বিধি-বিধান অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো আপনারা জানবেন এবং এ জাতীয় অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করবেন। এসব অনুসন্ধান বা তদন্তের মাধ্যমে কর্মপক্রিয়ার পদ্ধতিগত ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করার সুযোগও রয়েছে। এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ জানানোর আইনি ম্যান্ডেটও কমিশনের রয়েছে। সবাই হয়তো অনুধাবনও করেন, বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং না করলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে সব সমস্যার হয়তো সমাধানও করা যাবে না।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আলী নূর, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, সিপিটিইউ এর পরিচালক শীষ হায়দার চৌধুরীসহ অনেকে।