কবি রবিউল হুসাইনের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর শেষ শ্রদ্ধা
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:১৮
ঢাকা: একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি রবিউল হুসাইনের পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রবিউল হুসাইনের বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন- কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন আর নেই
রবিউল হুসাইনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিউল হুসাইনের বাসায় উপস্থিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানতে চান, রবিউলের শারীরিক কী সমস্যা হয়েছিল। পরে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। আধা ঘণ্টার মতো সময় কবির বাসায় অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। এক ধরনের হাড়ের ক্যানসার ‘এ প্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’তে ভুগছিলেন তিনি। এ রোগের কারণে তার শরীরে রক্তের উৎপাদন ক্রমেই কমে যাচ্ছিল। এর আগে বিভিন্ন সময়ে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন তিনি। ১৮ নভেম্বর তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তবে কোনো প্রচেষ্টাতেই আর বাঁচিয়ে রাখা যায়নি তাকে।
কবির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে তার মরদেহ। পরে তা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদে জানা শেষে বাদ জোহর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই কবি ও স্থপতিকে।
আরও পড়ুন- কবি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
কবি রবিউলের জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। স্কুল ও কলেজ জীবনের শুরুটা ছিল কুষ্টিয়ায়। জীবদ্দশায় মোট আটটি কবিতার বই ও দুইটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে রবিউল হুসাইনের। এইসব নীল অপমান, অপ্রয়োজনী প্রবন্ধ, কী আছে এই গভীর অন্ধকারে তার উল্লেখযোগ্য বই। এছাড়া স্থাপত্যের ওপরেও বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন তিনি।
রবিউল হুসাইন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি ছিলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক পান তিনি। এর আগে ২০০৯ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে।
কবির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বার্তায় তারা বলেন, রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে দেশ বহুমুখী গুণের অধিকারী দেশপ্রেমিক এক বরেণ্য ব্যক্তিকে হারালো। তারা রবিউল হুসাইনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন কবি রবিউল হুসাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা