Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খালিদীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক’


২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৪৫

ঢাকা: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব দিলোওয়ার বখত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দিলোওয়ার বখত বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন, বিডিনিউজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।’

তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কী পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘অভিযোগটির বিষয়ে যেহেতু অনুসন্ধান চলছে তাই অনুসন্ধানের পরেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’

তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তৌফিক ইমরোজ খালিদী সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নন।

খালিদীর বক্তব্যের জবাবে সচিব বলেন, ‘বাইরে কি আলোচনা হয়েছে সেটি জানি না। তবে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা তার নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ ও প্রমাণাদি যাচাই-বাঁছাই করার পরে পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা আলোচনা করা হবে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করছে। কারণ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলেই তখনই দুদক সেটি অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিয়ে থাকে।’

এদিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে আমার বলার তেমন কিছু নেই। অনেকক্ষণ আমি অনুসন্ধান কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। যা বলার তাকে বলে দিয়েছি। তবে এতক্ষণ সময় লেগেছে (৬ ঘণ্টা) কারণ হচ্ছে দুদকের একটা ফরমেট আছে। অনেকগুলো প্রশ্ন আছে। সেগুলো শোনা এবং লিখিতভাবে লিখতে হয় ও স্বাক্ষর দিতে হয়। আমি আজকে ক্লান্ত। আমি যা বলার এর আগে বলেছি। আজকে আমার নতুন করে কিছুই বলার নেই। একেবারে কিছুই বলার নেই। যেহেতু এটি একটি তদন্তাধীন বিষয় সেহেতু এটি নিয়ে আমার কথা বলা উচিত হবে না।’

আপনার ওপর সুনির্দিষ্ট অভিযোগটা কি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেই অর্থে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখন পরিষ্কার নয়। তারা তদন্ত করে দেখবে। কোনো জায়গা থেকে একটা চিঠি এসেছে বোধ হয়! সেটার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। কাজেই অভিযোগটা কি…একটা বিনিয়োগ হয়েছে। একটি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। সেটি নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। সেটা তারা (দুদক) খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। আমার কাছে মনে হয় তারা খতিয়ে দেখবেন।’

প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কোনো একটি ব্যাংকের এমডিকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে খালিদী বলেন, ‘‘তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে তিনি আমার কথা বলেছেন কি না? আমি জানি না কেন প্রশ্নটা উঠছে? প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা কোনো একটি কারণে একদিন আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেন, ‘আমার সামনে বসে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কোনো একজনের সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন।’ সেটি অন্য একটি নাম তিনি বলেছেন। আমি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে সাধারণত কথা বলি না। আমাদের সেলস টিম আছে তারা কাজগুলো করে। প্রধানমন্ত্রী যে সম্পাদকের বিষয়ে কথা বলেছেন সেটি আমি না। এটা আলোচনারও বিষয় না। আমার মনে হয় এই প্রশ্নটি একেবারে অবান্তর।’’

খালিদী দুদক বিডিনিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর