চট্টগ্রামে হিযবুত সংগঠক মাহফুজ ৮ দিনের রিমান্ডে
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২০:১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে হিযবুত তাহরিরের সংগঠকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্তের জন্য সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহান এই আদেশ দিয়েছেন।
হিযবুত তাহরিরের সংগঠকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ সারাবাংলাকে জানান, প্রথম দফায় মঞ্জুর হওয়া তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার মাহফুজকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে আটদিন মঞ্জুর করেছেন।
গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে লিফলেট বিলির সময় হিযবুত তাহরীরের ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৮) ও ইমতিয়াজ ইসমাইলকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান (আঞ্চলিক কমান্ডার) আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলমসহ (৩৯) আরও ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার বাকি ১২ জন হলেন, আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), নাসিরুদ্দিন চৌধুরী (২৯), নাজমুল হুদা (২৭), লোকমান গণি (২৯), মোহাম্মাদ করিম (২৭), আব্দুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান রানা (২০), আরিফুল ইসলাম (২০), আজিমুদ্দিন (৩১), মো. আজিমুল হুদা (২৪), ফারহান বিন ফরিদ (২৩) ও মো. সম্রাট (২২)।
গ্রেফতার ১৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
আদালত আঞ্চলিক কমান্ডার এরশাদুলকে পাঁচদিন এবং বাকিদের তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এস আই সজল দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরশাদুলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বাকি ১৩ জনকে এখনো রিমান্ডে নেওয়া হয়নি।’
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘রিমান্ড মঞ্জুরের পর মামলাটির তদন্তভার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে গেছে। আমরা আমাদের হেফাজতে থাকা আসামিসহ সব নথিপত্র সংস্থার কাছে দিয়েছি। মাহফুজকে প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির অফিসে তল্লাশি করে তিনটি হার্ডডিস্ক ছাড়া ল্যাপটপ, জিহাদি বই ও সাংগঠনিক নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’