কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঈমাম গ্রেফতার
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫৪
রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গাঁওপাড়া সেনভাগ জামে মসজিদের ঈমাম ইয়াকুব আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাকে সহয়তা করার অভিযোগে মসজিদের সহকারী ঈমাম আব্দুল আলীমকেও (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন। এদিন ভোরে সেনভাগ বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইয়াকুব আলীর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার বাবার নাম আবুল হোসেন। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা রয়েছে তার স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহীর রাজপাড়া থানা এলাকায়।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পুঠিয়া থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ দুপুরে মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ইয়াকুব আলী মসজিদের পাশে একটি কক্ষে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী-সন্তান আলাদা থাকেন। মসজিদের পাশের কক্ষে তিনি স্থানীয় কয়েকজনকে আরবি পড়াতেন। সেই সূত্র ধরে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ইয়াকুব প্রায় দুই বছর ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান।
গত জুন মাসে মেয়েটি সন্তান সম্ভবা হলে ইয়াকুব গোপনে গর্ভপাত করান। এরপর মেয়েটির অভিভাবকরা বিষয়টি জানতে পারেন। ইয়াকুবকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। ভুক্তভোগীর কিশোরীর স্বজনরা ইয়াকুব আলীসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে ইয়াকুবকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি দুইজন এখনো পলাতক— বলেন রেজাউল ইসলাম।
গাঁওপাড়া সেনবাগ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহির উদ্দীন বলেন, বিষয়টি জানার পরে গত সপ্তাহে মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে আমরা সালিশ বৈঠক করি। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ইয়াকুব মেয়েটির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা দেবেন। তিনি ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো ওই পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছিলেন।