Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতি, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন


২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৩০

ঢাকা: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবৈধভাবে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি কেনার মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ‍কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করবেন।

যে ছয় জনের নামে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন— ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ও বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের প্রভাষক ডা. এ এইচ এম নুরুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা, সহযোগী অধ্যাপক (ডেন্টাল) ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপাতি বিশ্বাস, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ, মুন্সী সাজ্জাদের দুই ভাই মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সী ফররুখ হোসাইন ও মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের আবদুল্লাহ আল মামুন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ১০ কোটি টাকার চিকিৎসার সরঞ্জাম ও মালামাল সরবরাহ করে মেসার্স অনিক ট্রেডার্স। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, এই দাম বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। অন্যদিকে, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোওয়ার বখত সারাবংলাকে বলেন, এটি একটি বহুল আলোচিত ঘটনা। বেশি দাম দেখিয়ে পর্দা ও মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিলও সাবমিট করে। এক পর্যায়ে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। বিল দেওয়া না হলেও এখানে অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টা করা হয়েছে, যা দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

এ কারণে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রচেষ্টার দায়ে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান দিলোওয়ার বখত।

অর্থ আত্মসাৎ উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি কেনা দুদক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মামলার অনুমোদন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর