Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা গণহত্যা: সেনা সদস্যদের বিচারে মিয়ানমারে কোর্ট মার্শাল


২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:২৮

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো গণহত্যার সাথে জড়িত সেনাসদস্যদের বিচার করতে কোর্ট মার্শাল শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জো মিন তুনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা গণহত্যার মামলা লড়ার প্রস্তুতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুন্ঠনের অভিযোগ রয়েছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত সংলগ্ন কক্সবাজার জেলায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সে সময় মিয়ানমারের সেনাসদস্য, পুলিশ ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী কিছু গ্রামবাসী ওই জাতিগত নিধনে সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে জাতিসংঘের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

তবে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেক বলা হয়েছে, নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রাখাইনে ওই অভিযান চালানো হয়।

টেলিফোনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রয়টার্সকে আরও জানিয়েছেন, গু দার পিন গ্রাম যেখানে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেইখানে সেনাবাহিনীর একটি রেজিমেন্ট কাজ করছিল। ওই রেজিমেন্টের সৈন্য ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ‘দূর্বলতা’র কিছু অভিযোগ আছে। এছাড়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছে, গু দার পিন গ্রামে ঘটে যাওয়া ‘দুর্ঘটনা’র প্রেক্ষিতে এই কোর্ট মার্শাল আয়োজন করছে সেনাবাহিনী।

এদিকে, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই গু দার পিন গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করার জন্য ওই অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা। কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষ থেকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করা হয়েছে।

উল্লেখ করা যায় যে, ইন দিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যার দায়ে সাতজন সেনাসদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও মাত্র এক বছর সাজা না খেটেই তারা মুক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও, ওই গণহত্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভঙ্গের দায়ে ১৬ মাস জেল খাটেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। পরে প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যামেনস্টির মাধ্যমে চলতি বছরের মে মাসে তারা মুক্ত হন।

কোর্ট মার্শাল গণহত্যা মিয়ানমার রাখাইন রোহিঙ্গা সেনাবাহিনী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর