ছয় শর্তে কাশ্মিরে ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া থাকছে না
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:১৭
কাশ্মিরে চার মাস ধরে বন্ধ থাকা ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় চালু করার জন্য অপারেটদের ছয় শর্তের অধীনে বন্ড সই করে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হচ্ছে। ‘শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে’ এবং সকল ‘কন্টেন্ট’ ও ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ চাওয়া মাত্র নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখাতে হবে এরক কিছু শর্তে রাজি থাকার পর কাশ্মিরে ইন্টারনেট সার্ভিস দিতে পারবে অপারেটরগুলো। খবর দ্য অয়্যার।
ওই শর্তগুলোর মধ্যে আরও উল্লেখ করা আছে, ‘স্বয়ংক্রিয় ভাবে মুছে ফেলা যায়’ এরকম কোনো তথ্য আদানপ্রদানের সার্ভিস চালু রাখা যাবে না। শুধুমাত্র বৈধ আইপি ঠিকানার অধীনে ইন্টারনেট চালু থাকবে। থাকবে না সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি, ভিপিএন, ওয়াইফাই। এমনকি ওই নেটওয়ার্কগুলোতে ইউএসবি পোর্টও কাজ করবে না।
এছাড়াও কর্তৃপক্ষের বরাতে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেটের যে কোনো ধরনের অপব্যবহারের জন্য অপারেটর কোম্পানিগুলো দায়ী থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগষ্টে ভারতীয় সংসদের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কাশ্মিরে সকল ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে কারফিউ জারি করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করলে অক্টোবরের ১২ তারিখে পোস্ট পেইড মোবাইল নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হলেও, এখনও নাগরিকদের জন্য ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি।
এদিকে, দ্য অয়্যারের সূত্রগুলো জানিয়েছে কিছু হোটেল, গেস্ট হাউজ এবং সরকারি অফিসে গত সপ্তাহ থেকে ১০০ ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। সরকারি অফিসগুলো থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় চালু করা শুরু হয়েছে, সরাক্রি অফিস গুলোকেও একই ধরনের বন্ড সই করার মাধ্যমে সংযোগ নিতে হচ্ছে।
কাশ্মিরের পুলিশ মহাপরিদর্শকের অফিস থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কাশ্মিরের বিভাগীয় কমিশনাতর বাসির খান জানিয়েছেন, সকল ইন্টারনেট সংযোগই নজরদারিতে থাকবে।