সে রাতে কী ঘটেছিল হলি আর্টিজানে!
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৫
ঢাকা: প্রায় সাড়ে তিন বছরের প্রতীক্ষার পর ঘোষণা হয়েছে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়। হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গি পরদিন সকালেই বিশেষ কমান্ডো অভিযানে মারা যায়। হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আরও আট জন বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মারা গেছে। বাকি আট আসামির মধ্যে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দালিলিক প্রমাণের অভাবে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
যে ভয়াবহ হামলায় জড়িত থাকার কারণে এই সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত, কেমন ছিল সেই হামলা? ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, সে হামলায় আক্ষরিক অর্থেই হলি আর্টিজান প্রাঙ্গণে রক্তের বান বয়ে গেলেও জঙ্গিরা ছিল উল্লসিত। সেটা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্করজনক এক রাত। জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ সে রাতে গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২২ জন। রেস্তোরাঁর বাইরে সন্ত্রাসীদের হামলায় মারা যান দুই পুলিশ কর্মকর্তাও।
২০১৬ সালের ১ জুলাই। ২৭ রমজানের রাত। দিনটি ছিল শুক্রবার। রোজার মাস হওয়ায় সারাদিন তেমন ভিড়বাট্টা না থাকলেও বিকেলের পর থেকে ব্যস্ত হতে থাকে হলি আর্টিজান বেকারি। গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার এই রেস্তোরাঁটি বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেদিনও দেশি নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতিতে সরব ছিল রেস্তোরাঁটি। তবে সন্ধ্যার পর রাতে যখন জমজমাট হয়ে ওঠার কথা হলি আর্টিজানের, ১ জুলাইয়ের সে রাতে তা পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।
সে রাতে হলি আর্টিজানে ছিলেন যারা
হলি আর্টিজান হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সেদিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করতে যান সেখানে। সঙ্গে ছিলেন হাসানাতের স্ত্রী শারমিনা পারভীন, ছেলে রায়ান করিম ও মেয়ে সাফা করিম। রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে তাহমিদ হাসিব খান তার বান্ধবী ফাইরুজ মালিহা ও তাহানা তাসমীয়াকে নিয়ে হলি আর্টিজানে অবস্থান করেন। একই সময়ে ভারতীয় নাগরিক ডা. সাত প্রকাশ প্রবেশ করেন সেখানে, পাস্তার অর্ডার দিয়ে কমলার জুস খেতে খেতে বন্ধু তন্ময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এদিকে, ঈদ উদযাপন করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফারাজ আয়াজ হোসেন ও অবিন্তা কবির। তাদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বন্ধু তারিশি জৈন। ২ জুলাই সকাল ৯টায় জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তারিশি জৈনর। এর আগে তাকে বিদায় দিতেই সে রাতে হলি আর্টিজানে খেতে যান তারা। নিজেদের আরেক বন্ধুর ‘ফেয়ার ওয়েল ডিনার’ করতে ইতালির ৯ নাগরিকও এসেছিলেন রেস্তোরাঁটিতে। সন্ধ্যার পর তারা সবাই মেতে ওঠেন তুমুল আড্ডায়।
সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সাত জাপানি নাগরিক বনানী জাইকা অফিস থেকে পৌঁছান হলি আর্টিজানে। তারা সবাই নিচতলায় গ্লাস দিয়ে ঘেরা হল রুমের একেবারের পেছনের টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছিলেন। ওই সময় ঢাকার ইশরাত আখন্দ বেকারিতে ঢুকছিলেন তার শ্রীলঙ্কান বন্ধু হরিকেশের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পর হরিকেশের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
ঘটনার শুরু ৮টা ৪২ মিনিটে
গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্লোস সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। তাতে ধারণ করা ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ঘটনার দিন রাত ৮টা ৪২ মিনিটে সেখানে প্রবেশ করে জঙ্গি নিবরাস ও মোবাশ্বের। একটু পর রোহান, পায়েল ও শফিকুলও সেখানে যায়। রেস্তোরাঁর মেইন গেটের দিকে পায়ে হেঁটে যেতে থাকে তারা। পরে তারা হলি আর্টিজান ও লেক ভিউ ক্লিনিকের মেইন গেটে উপস্থিত হয়। তাদের প্রত্যেকের পরনে ছিল টি-শার্ট, মোবাইল প্যান্ট, পায়ে কেডস, কাঁধে ব্যাগ। গেট দিয়ে ঢুকতেই তাদের বাধা দেন নিরাপত্তা প্রহরী নূর আলম। পরিচয় না পেয়ে বাধা দিতে গেলে নিবরাস তার চোখের নিচে ঘুষি মেরে মোবাশ্বেরকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের পেছনে পেছনে বাকিরা ঢুকলে তারা ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলতে হলি আর্টিজানের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। নূর আলম আঘাত পেয়ে লেক ভিউ ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তবে তখনো তার বা অন্য কারও জানা ছিল না, পাঁচ তরুণের ব্যাগভর্তি ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা/গ্রেনেড, ছুরি ও চাপাতি।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু গুলিবর্ষণ
জঙ্গিরা হলি আর্টিজানের ভেতরে ঢুকেই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। তারা প্রত্যেকে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে বলতে থাকে, তোমাদের ভয় নাই, আমরা মুসলমানদের মারব না। তোমরা টেবিলের নিচে মাথা নিচু করে থাকো। মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই চিৎকার করতে থাকে। ওয়েটারসহ সবাই এদিক-সেদিক ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। বেকারির রুমের একপাশ দিয়ে প্রবেশ করে মোবাশ্বের ও নিবরাস। নিচ তলার বড় রুমের সামনের লনের পাশ দিয়ে প্রবেশ করে রোহান, পায়েল ও উজ্জ্বল। বেকারিতে অবস্থানরত বিদেশিদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে তারা।
নিচ তলার বড় রুমে ঢুকে অবস্থানরত ইতালিয়ানদের দেখে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর বাকি রুমগুলোর ভেতরে চেয়ার-টেবিলে বসে থাকা বিদেশিদের গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গিরা সেখানে অবস্থানরত প্রায় অর্ধশতাধিক দেশী-বিদেশী, নারী-পুরুষকে জিম্মি করে। এরপর তারা বেকারির বাথরুম, টয়লেট, ছাদ, বাথরুম, কিচেন, চিলার রুমের মতো স্থানগুলোতে লুকিয়ে থাকা বিদেশি নাগরিকদের খুঁজে খুঁজে বের করে ২০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। যারা গুরুতর অহত অবস্থায় ছিল, তাদেরও ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
হামলায় ইতালির ৯ জন, জাপানের সাত জন, ভারতীয় একজন, বাংলাদেশি তিন জন অতিথি এবং রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের মধ্যে দু’জন মারা যান। রেস্তোরাঁর বাইরে জঙ্গিদের গ্রেনেডের আঘাতে মারা যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান। ঘটনার সাত দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। এদিকে, রেস্তোরাঁয় বাকিদের জঙ্গিরা সারারাত জিম্মি করে রাখে হলি আর্টিজানে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টের মাধ্যমে অবসান ঘটে সেই জিম্মি দশার।
হামলার খবর অ্যাপে জানায় জঙ্গিরা
হামলার সময় নিবরাস জিম্মিদের সবাইকে লক্ষ করে বলে, আপনারা আপনাদের পরিচিতজনদের মোবাইলে কল দিয়ে বলে দেন, আপনারা বেঁচে আছেন। পুলিশ যেন গুলি না চালায়। এরপর নিবরাস জানতে চায়, জিম্মি কারও কাছে মোবাইল ইন্টারনেটযুক্ত কোনো মোবাইল আছে কি না। ওই সময় হাসনাত করিম তার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে জানালে নিবরাস তাকে প্লেস্টোরে গিয়ে বিশেষ একটি মোবাইল অ্যাপন ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে বলে। এরপর সেই অ্যাপ দিয়ে হামলায় ২০ জনকে হত্যার খবর তারা অন্য জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি তাদের এই হামলা নিয়ে গণমাধ্যমে কী খবর প্রচার হচ্ছে, তাও দেখে সে। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযান শুরুর আগে মোবাইলটি ফেরত দেয় নিবরাস।
মামলার চার্জশিট থেকে হামলা পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
রাত ৯টা ২০ মিনিট: রোহান হলি আর্টিজান বেকারির ওয়েটার ইমাম হোসেন সবুজকে দিয়ে বেকারির দোকান থেকে কেক ও পানি এনে জিম্মিদের খাওয়ায়।
রাত ১২টা: জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হলি আর্টিজান বেকারির নিচ তলার হল রুম ও দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেয়। নিবরাস ও পায়েল হল রুমে এবং মোবাশ্বের ও শফিকুল আইসক্রিম স্টোর রুমসহ অন্যান্য রুম তল্লাশি করে। তারা হোটেল কর্মচারী মিরাজকে জিম্মি করে বেকারির আশপাশে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে। জঙ্গিরা ওই রাতে নারী ও পুরুষদের আলাদা করে রাখে।
রাত ১২টা ৩০ মিনিট: জঙ্গিরা হল রুমের লাইট অফ করে ফ্লোরে পড়ে থাকা দেশি-বিদেশিদের ধারালো চাপাতি/ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণণায়। ওই সময় একজন নারী ব্যথায় আর্তনাদ করছিলেন, যা অনেকেই শুনতে পান। হামলাকারী জঙ্গিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে করতে বলে, মহিলা মরতেছে না তো।
রাত ১টা: জিম্মিদের সবাইকেই কানে হাত দিতে বলে তারা। এরপর মাকোটা ও কামুরাকে পরপর দুইটি গুলি করে হত্যা করে রোহান। এরপর কর্মচারীদের কাছে জঙ্গিরা বেকারির ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড চায়। শাহরিয়ার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেয়। পাসওয়ার্ড নিয়ে তারা হাসনাত করিমের ফোনে ওয়াইফাই সংযোগ করে জিম্মিদের সবাইকে সিরিয়ার মানুষের ওপর অত্যাচারের বিবরণ সম্বলিত কয়েকটি ভিডিও দেখায়।
রাত ২টা: রোহান বেকারির স্টাফ লিটন ইসলাম ও ইমাম হোসেন সবুজকে দিয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার এনে হল রুম রাখে। শাহরিয়ার হোসেন ও শিশিরকে দিয়ে আরও একটি গ্যাস সিলিন্ডার আনায়। এরপর জঙ্গিরা অতিথিদের ফোন দিয়ে নিহতদের ছবি উঠায় এবং অ্যাপসের মাধ্যমে তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায়। তামিম চৌধুরী ও মারজান সারারাত জঙ্গি রিগান, তানভীর কাদেরী, রাজীব গান্ধীসহ অন্যান্যদের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে নিউজ লিংক দেখতে বলে। তামিম চৌধুরী ও মারজান হামলাকারী পাঁচ জনের জন্য দোয়াও করতে বলে।
রাত ২টা ৩০ মিনিট: রোহান বেকারির বাবুর্চি শিশিরকে দিয়ে কোরাল ও চিংড়ি মাছ রান্না করিয়ে সবাইকে সেহরি খেতে বলে। রোহান দ্বিতীয় তলায় অবস্থানরত শফিকুল ইসলাম ও মোবাশ্বেদের নিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করে। একপর্যায়ে সকালের দিকে মারজান মেসেজ পাঠিয়ে সবাইকে জানায়, প্যারা কমান্ডো বাহিনী প্রস্তুত, কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের ভাইয়েরা শহীদ হবে।
ভোর পৌনে ৬টা থেকে ৬টা: রোহান জোর করে তাহমিদ হাসিব খানের হাতে একটি গুলিবিহীন পিস্তল ধরিয়ে দেয়। তারপর অস্ত্রের মুখে হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিবকে বেকারির ছাদে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে তারা আবার ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে। এরপর রোহান ও নিবরাস গেট খুলে আসার জন্য হাসনাত করিমের হাতে চাবি দেয়। হাসনাত করিম চাবি নিয়ে গেট খুলে হল রুমে ফেরত আসে।
সকাল ৭টা ২৫ মিনিট: হাসনাত করিমের পরিবারসহ জিম্মি আট জনকে খোলা গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে রোহান। বের হওয়ার মুহূর্তে তাদের উদ্দেশে বলে, তোমাদের সঙ্গে আমাদের জান্নাতে দেখা হবে।
সকাল ৭টা ৩১ মিনিট: আট জন বেকারি থেকে বের হয়ে ৭৯ নম্বর রোডে চলে আসে। এরই মধ্যে রোহানের নির্দেশে কর্মচারী ইমাম হোসেন বেকারির বাথরুমে আটকে থাকা অন্যান্য স্টাফদের হলরুমে নিয়ে আসে। তখনো পাঁচ জঙ্গি ছিল হলরুমে।
সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট: জঙ্গিরা স্টাফদের সবাইকে হল রুমে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে বলে, একটু পর তোমরাও আমাদের লাশ দেখতে পাবে। তোমরা নামাজ আদায় ও কোরআন শরীফ পড়ো। মেঝেতে পড়ে থাকা লাশ দেখিয়ে তারা বলে, তোমরা যে লাশগুলো দেখছো, কিছুক্ষণ পর আমাদেরও একই অবস্থা হবে। ওই সময় তারা এও বলে, আমরা এখন জান্নাতবাসী।
৭ টা ৪০ মিনিট: মোবাশ্বের, রোহান, নিবরাস, খায়রুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম হল রুম থেকে বেরিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে লনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এসময় সেনাবাহিনীর বিশেষ প্যারা কমান্ডো ইউনিট শুরু করে অপারেশন থান্ডারবোল্ট। কমান্ডো বাহিনীর গুলিতে হলি আর্টিজানের সামনের লনে আছড়ে পড়ে পাঁচ জঙ্গির লাশ। পরে কমান্ডো বাহিনী এগিয়ে যায় রেস্তোরাঁর ভেতরে। জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করে বাকি সবাইকে।
সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড হলি আর্টিজান হলি আর্টিজান মামলার রায় হলি আর্টিজান হামলা