সৌদি আরবে নির্যাতিত গৃহকর্মী হুসনা আক্তার রাতে দেশে আসছেন
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৫
ঢাকা: সৌদি আরবে নির্যাতিত নারী গৃহকর্মী হুসনা আক্তার বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে দেশে আসছেন। ব্রাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান গণমাধ্যকর্মীদের এই তথ্য জানান।
শরিফুল হাসান জানান, আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১১টায় সৌদি এয়ারলাইন্স (SV 804) বিমানযোগে রিয়াদ হয়ে দেশে আসার কথা রয়েছে।
সৌদির বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে সৌদি আরবে কর্মরত নারী গৃহকর্মী হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের পর পুলিশের নজরদারিতে এবং সেইফহোমে রাখা হয়। বর্তমানে তিনি নিরাপদে আছেন। তাকে বাংলাদেশে প্রেরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে জেদ্দা কনস্যুলেটের ফলোআপ অব্যাহত আছে।
জেদ্দা কনস্যুলেট হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য সৌদির নাজরান পুলিশকে অবহিত করে। হোসনা আক্তার সৌদি রিক্রুটিং অফিস ‘‘রুয়াদ নাজরানের (লাইসেন্স নং- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে প্রায় তিন মাস আগে সৌদি আরবে যান। তার কর্মস্থল ছিল সৌদি আরবের নাজরান শহরে, যা জেদ্দা হতে প্রায় ১,০০০ কি. মি. দূরে।
হোসনা আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম মো. মুজিবুর রহমান।
এর আগে, হুসনা তার ভিডিও বার্তায় দেশের মানুষের কাছে সহযোগিতা চান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেই তিনি সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন। তাকে ‘ভালো কাজের’ প্রলোভন দেখান স্থানীয় দালাল শাহীন মিয়া ও রিক্রুটিং এজেন্সি আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন। গত ৬ নভেম্বর এজেন্সি আল-সারা ওভারসিসের (আরএল-৭৫২) মাধ্যমে তিনি সৌদি আরবে যান। যাওয়ার পর থেকেই তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
হুসনা আক্তারের স্বামীর নাম শফিউল্লাহ। তিনি বিষয়টি জানার পরে ছুটে যান শাহীনের কাছে এবং আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে। তারা হুসনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে ব্রাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, কোনো উপায় না পেয়ে ২৪ নভেম্বর ব্র্যাকের সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন হুসনার স্বামী শফিউল্লাহ। এরপর নিরাপদে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পরিবারটিকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।