‘ছেলে অপরাধী হলে শাস্তি পাওয়াই উচিত’
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৩৬
জয়পুরহাট: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগরের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়রাপাড়া গ্রামে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পরে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে সাগরের মা আছিয়া বেগম বলেন, হলি আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা জঘন্য অপরাধ করেছে। ছেলে অপরাধী হলে শাস্তি পাওয়াই উচিত। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।
সাগরের বাবা পল্লী চিকিৎসক ডা. হারুনূর রশিদ। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সাগর মেজো। ২০০৫ সালে কয়রাপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল সাগর পাস করেন। ২০০৭ সালে বানিয়াপাড়া মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করতে পারেননি। এরপর সাগর কিছু দিন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসাবে চাকরি করেন।
আছিয়া বেগম বলেন, হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির বেশ কয়েক বছর আগে সাগর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। মাঝে মধ্যে বাড়ি আসতো। তার চালচলনে বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। হামলার পরে জানতে পারি সে জঙ্গি সংগঠনে জড়িত। এরা অবশ্যই অপরাধী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডা. হারুনূর রশিদ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। চোখে ঠিকমতো দেখতে পান না। চলাফেরায়ও করতে পারেন না। এই ঘটনার পর থেকে কারো সঙ্গে তেমন কথাও বলেন না।
সাগরের বড় ভাই ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় এবং ছোট ভাই একটি জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে সাগরের মা বাড়িতেই ছোট মুদি দোকান চালান।
আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানূর আলম সাবু জানান, ছেলেটা অনেকদিন ধরে এলাকার বাইরে। অপরাধ করায় শাস্তি হয়েছে, সেটা নিয়ে আপসোস নেই। কিন্তু আমাদের এলাকার একটা ছেলে বিপথে চলে গেছে এটা আমাদের জন্য কষ্টের বিষয়ও।