৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ
২৮ নভেম্বর ২০১৯ ১১:০৭
ঢাকা:জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়( বিএসএমএমইউ) কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওইদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানি র দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। এদিন
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতে শুনানি শুরু করেন । শুরুতেই তিনি আদালত চত্বরে কড়া পুলিশী নিরাপত্তার বিষয়ে আদালতের কাছে অভিযোগ করেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য যুক্তিগুলো উপস্থাপন করেন। এসময় বিএনপিপন্থী আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শুনানিতে বক্তব্য রাখেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করবেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে থাকবেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ওই আবেদনের শুনানির জন্য গত ১৭ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট।