ট্রাউজারের বদলে বোরকার কাপড় এনে ৪৮ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা
২৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শুল্কমুক্ত আওতার (বন্ড সুবিধা) কাপড় আমদানির ঘোষণা দিয়ে শুল্কায়নযোগ্য বোরকার কাপড় এনে প্রায় ৪৮ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে ময়মনসিংহের একটি পোশাক কারখানা। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে খালাস হওয়া কনটেইনারে তল্লাশি করে ২১ হাজার টন শুল্কায়নযোগ্য এই কাপড় জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কন্টেইনারটির কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার নুর উদ্দিন মিলন।
তিনি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মহেরা বাড়ি এলাকার লিউ ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানা সাড়ে ২২ টন শতভাগ পলিস্টার ফেব্রিকস (ট্রাউজার তৈরিতে ব্যবহৃত কাপড়) আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খুলেছিল। চীনের শাওজিং উনাহ মিং জিউ ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে এই কাপড় কেনা হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে চীন থেকে জাহাজে করে ওই চালানের কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকের প্রতিনিধি আমদানি পণ্য খালাসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআরআই শাখা কনটেইনার থেকে পণ্য খালাস স্থগিত করে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কন্টেইনার খুলে দেখা যায়, ট্রাউজার তৈরির পলিস্টার কাপড় এসেছে মাত্র ৫ টন ১০০ কেজি। বাকি ২১ টন এসেছে বোরকা তৈরির পলিস্টার কাপড়।
কাস্টমসের উপকমিশনার নুরউদ্দিন মিলন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্রাউজার তৈরির পলিস্টার কাপড় আসে বন্ড সুবিধার আওতায়। অর্থাৎ এসব কাপড় আমদানি হয় পোশাক তৈরি করে পুনরায় রফতানির জন্য। এসব কাপড় আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধার কাপড়ের আমদানি ঘোষণা দিয়ে এনেছে বোরকা তৈরির কাপড়, যা অবশ্যই শুল্ক পরিশোধযোগ্য। প্রতিষ্ঠানটি ৪৮ লাখ টাকার মতো শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যা আমরা রোধ করেছি।’
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।