Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আশুলিয়া থানা যুবলীগের কমিটি চেয়ে এ কেমন ফেস্টুন!


২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৭

আশুলিয়া: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের পর বিভিন্ন এলাকার শাখা কমিটিগুলো গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। নতুন কমিটি নিয়ে প্রচার-প্রচারণা, গুঞ্জন সবই আছে। ব্যতিক্রম নয় আশুলিয়াও। তবে এই এলাকায় ভিন্নধর্মী একাধিক ফেস্টুন আলোচনায় উঠে এসেছে। এসব ফেস্টুনের কোনোটিতে লেখা রয়েছে ‘কাউয়া ও হাইব্রিডমুক্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগ চাই’, কোনোটিতে লেখা ‘নাশকতা মামলার আসামিমুক্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগ চাই’। আর ফেস্টুনে ব্যবহার করা হয়েছে কাকের ছবি!

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর, বাইপাইল, পল্লীবিদ্যুৎ, নবীনগর ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের শিমুলতলা, জামগড়া, জিরাবো, সরকার মার্কেট ও আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এসব ফেস্টুন দেখা যায়।

এর আগেও আশুলিয়ার নবীনগর, চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ ধরনের ফেস্টুন দেখা গেছে। সেখানেও কাকের ছবি দিয়ে লেখা ছিলো ‘কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত যুবলীগ চাই। প্রচারে আশুলিয়া থানা যুবলীগ’। সেই ফেস্টুনগুলো নিয়ে মামলা পর্যন্তও হয়েছে। তবে নতুন ফেস্টুনগুলোতে প্রচারকারী হিসেবে লেখা রয়েছে ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষের জনগণ’।

নতুন এসব ফেস্টুনের ছবি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে আলোচনার ঝড় ওঠে।

নতুন করে টাঙানো ফেস্টুনের যেগুলোতে ‘নাশকতার মামলার আসামিমুক্ত’ কমিটি চাওয়া হয়ে, তাতে মামলা নম্বরও উল্লেখ করা আছে। সেই মামলাটি ২০১৩ সালে দায়ের করা (মামলা নম্বর- ৬৩, তারিখি ২৭-১০-১৩)।

ওই মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে বিএনপি জোটের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় আশুলিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাসকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়। বাসটির ৯০ ভাগ আগুনে পুড়ে গেলে বাসের মালিক মোতালেব হোসেন ওই দিনই আশুলিয়া থানায় ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার ও আশুলিয়া) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন বাবুকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। সেখানে বর্তমান আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ ছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, নতুন ফেস্টুনে হয়তো সেই কবির হোসেনকেই নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আশুলিয়া থানা যুবলীগের মধ্যেও তাকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কারণ তিন মাসের জন্য তিনি থানা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পেলেও গত দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি।

স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান যুবলীগ নেতা নিজের আত্মীয়-স্বজনদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। যারা দুঃসময়ে রাস্তায় ছিল, যারা দলকে ভালবেসে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে, তাদের তিনি কমিটিতে পদ দেননি।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, নাশকতাসহ আট মামলার আসামি কবির সরকার। কেন্দ্রীয় যুবলীগে বিতর্কিত ব্যক্তিদের জায়গা না দিতে সোচ্চার ছিল সবাই। শুধু কেন্দ্র নয়, আমরাও বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে দেখতে চাই না।

এ বিষয়ে কবির হোসেন সরকারের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা বলেন, এভাবে ফেস্টুন লাগানোর বিষয়টি ভালো কাজ নয়। এতে যুবলীগের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। শুধু যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগেরও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। কে বা কারা এই কাজ করছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর