‘৫ ভাগের কাছে বাংলাদেশ জান্নাতুল ফেরদৌস, ৯৫ ভাগের জন্য দোজখ’
২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন শক্তি দেশের মানুষকে আজ দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। একদিকে ৫ ভাগ মানুষ, আরেকদিকে ৯৫ ভাগ। ৫ ভাগ মানুষের কাছে এই দেশ আজ জান্নাতুল ফেরদৌস, আর ৯৫ ভাগ মানুষের জন্য হাবিয়া দোজখ।’
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিবি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে শাহ আলম বলেন, ‘দেশের ৫ ভাগ মানুষের হাতে আজ সব ক্ষমতা, সব সুযোগ-সুবিধা। আর ৯৫ ভাগ মানুষ বাঁচার জন্য লড়াই করছে। তারা আজ সিন্ডিকেটের দাপটে অসহায়। পেঁয়াজ-ডাল-লবণের বাজারে গেলে সিন্ডিকেট, চিকিৎসা নিতে গেলে সিন্ডিকেট, লেখাপড়া করতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সেখানেও সিন্ডিকেট, ব্যাংকে সিন্ডিকেট, শেয়ারবাজারে সিন্ডিকেট।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তবাজার মানে হচ্ছে লুটপাটের অর্থনীতি আর লুটপাটের শাসন। সরকার মুক্তবাজারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বাজার নীতি বলতে কিছু আর দেশে অবশিষ্ট নেই। আমরা ক্যাসিনো বাণিজ্য দেখেছি। এটা সামান্য লুটপাট। বড় লুটপাট চলছে ব্যাংকগুলোতে। সেখানে আবার আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব এক। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরির জন্য ঠকানোর ক্ষেত্রে তারা সবাই এক। কারণ গার্মেন্টসের মালিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি- সবাই আছে।’
শাহ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ন্যূনতম কোনো পার্থক্য নেই। সেজন্য আমরা বলছি- গদির বদল নয়, নীতির বদল চাই। রাষ্ট্রক্ষমতায় জনগণের শক্তিকে নিয়ে যেতে হবে। না হলে, এই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি জনগণের শক্তি নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শক্তিই একমাত্র জনগণের শক্তি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সিপিবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক মৃণাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অশোক সাহা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃত বড়ুয়া, নুরুচ্ছাফা ভূইয়া, ও গৌরাঙ্গ দাশ এবং যুব ইউনিয়নের নেতা রবিউল হোসেন, জাবেদ চৌধুরী, রাশিদুল সামির প্রমুখ। সিপিবি কোতোয়ালী থানা কমিটির সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার।
এর আগে, বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে এসে পদযাত্রা শেষ হয়।