Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩য় দফা শ্রমিক ধর্মঘটে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ


৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:০০

ঢাকা: নিয়োগপত্র ও খাবার ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন নৌপরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। চলতি বছর এটি শ্রমিকদের তৃতীয় দফার ধর্মঘট।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সদরঘাট থেকে দু’একটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও বরিশাল চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের রুটে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। বরিশালের স্থানীয় ৩৩ টি ও ঢাকার সঙ্গে চলাচলকারী ১০ টি লঞ্চের দেখা মেলেনি।

বিজ্ঞাপন

সকালে সদরঘাট লঞ্চ টামিনালে শরিয়তপুর ও চাঁদপুরগামী কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চের মালিকপক্ষ সরাসরি সদরঘাটে এসে লঞ্চ ছাড়ছেন। তবে শ্রমিক পক্ষকে সদরঘাটে দেখা যায়নি।

সকালে নৌযান শ্রমিকনেতা আশিকুল আলম সারাবাংলাকে জানান, সারাদেশে সব নৌরুটে তাদের ধর্মঘট সফলভাবে চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবার তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।

শ্রমিকদের দাবিগুলোর বেশিরভাগ লঞ্চমালিকদের প্রতি। লঞ্চ মালিকরা শ্রমিকদের এ ধর্মঘটকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বলছেন, ২০১৬ সালে নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি চুক্তি হয়েছিল। সে চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি শহিদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, শ্রমিকরা কথায় কথায় ধর্মঘট করছে। গেল ৭ দিনের মধ্যে তারা দ্বিতীয়বার সাধারণ যাত্রীকে জিম্মি করে ধর্মঘটে গেল। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নিয়ে তৎপর হতে দেখা যায়নি।

লঞ্চ শ্রমিকরা বলছে, যে চুক্তি হয়েছিল সেটা মালিকরা নিজে ভঙ্গ করেছে। তাছাড়া যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে তাতে শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিতে হবে।

এদিকে প্রথম দফায় নৌ ধর্মঘটের পর পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়ার বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্য নৌ পরিবহন অধিদফতর তাদের বার্ষিক সার্ভে চেক লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এ খাতের শ্রমিকদের খাদ্যভাতা দেওয়ার বিষয়েও মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে আগামী মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা। এরমধ্যে শ্রমিকরা তৃতীয় দফায় আন্দোলনে গেল।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ঘোষিত ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের খোরাকি ভাতা ফ্রি করতে হবে ও ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে। মাস্টার ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব অনিয়ম বন্ধ করতে হবে এবং কোর্স চলাকালে শ্রমিকদের ছুটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। নৌ শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসালয় করতে হবে। নৌপথে মোবাইল কোর্টের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌ শ্রমিকের মৃত্যু হলে ১২ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভারতগামী শ্রমিকদের লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ল্যান্ডিং পাস সার্ভিস ভিসা ও জাহাজের ফ্রিজিং ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের (শ্রমিকদের) সুবিধা মতো স্থানে বাজার ও অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে।

লঞ্চ ধর্মঘট