রায়ের কপি দিতে গড়িমসি আইনের লংঘন: ফখরুল
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:৫১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিতে ‘গড়িমসি’ সম্পূর্ণ আইনের লংঘন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিকেল ৫ টায় শুরু হয়ে এ বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায়।
বৈঠক থেকে বের হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন এবং রায়ের সার্টিফায়েড কপির ব্যাপারে ইচ্ছাকৃতভাবে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। বৈঠকে আমরা এর নিন্দা জানিয়েছি।
‘বেআইনিভাবে রায়ের সত্যায়িত কপি দেওয়া হচ্ছে না- এটা সম্পূর্ণ আইনের লংঘন। কারণ, আইনে রয়েছে ৫ দিনের মধ্যে সার্টিফায়েড কপি দেওয়ার কথা। কিন্তু ৮ দিনেও সেটা দেওয়া হয়নি। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইন লংঘন করছে’- বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আইন যেন তার নিজের গতিতে চলে। আর খালেদা জিয়ার মুক্তি যেন বিলম্বিত না হয়-বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।’
‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়াই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এর জবাব দেবে- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন আইনজীবী নেতারা। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হবে- এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন তারা।’
‘আগামীতে ঢাকা বারের নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম অংশগ্রহণ করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়েই তারা (আইনজীবীরা) জয় ছিনিয়ে আনবেন, এ বিষয়টিও নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে’- জানান ফখরুল।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, রায়ের কপি দেয়ার এখনও কোন পর্যন্ত যুক্তিসংগত ব্যাখা আমাদের দেয়নি। রায়ের দিনই আমরা সত্যায়িত কপি চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। আমাদের হাইকোর্টে বিধান আছে, একটি সত্যায়িত কপি দ্বারা আপিল ফাইল করা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সত্যায়িত কপিটিও তারা দেয়নি নাই।
রায়ের পর সেই রায় পরিবর্তন করার বিধান আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় দেয়া পর কোন শব্দ পরিবর্তন করারও সুযোগ নেই। ৫ দিনের মধ্যে রায়ের কপি দেয়ার বিধান রয়েছে- বলেও জানান জয়নুল আবেদীন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন,ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ,ড.আব্দুল মঈন খান,নজরুল ইসলাম খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড.খন্দকার মাহবুব হোসেন,জয়নাল আবেদীন,মীর নাসির,নিতাই রায় চৌধুরী,যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহমুদ উদ্দীন খোকন,অ্যাড.সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এজেড