মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, লাশ উত্তোলন
৩০ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৪২
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় দাফনের ১০ দিন পর ইমন (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
লিংকন বিশ্বাস সারাবাংলাকে জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপনের দায়ের করা মামলার শুনানি নিয়ে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
ইমন বাড়ি কাদেরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম এজাজুল আজিম রিপন।
গত ২৭ নভেম্বর শাজাহান আলী স্বপন পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এরা হলেন— আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অসিত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাস।
গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমনের মৃত্যু হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ইমনকে নির্যাতন করা হচ্ছে।
মামলা দায়েরের পরে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই উপজেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়। সেখানে ৯ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়ার ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ পাঠিয়ে দেয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।