ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার সে লক্ষ্য নিয়ে কাজও করছে।
তিনি বলেন, আমাদের রফতানি বাণিজ্যে তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই সবচেয়ে সম্ভবনাময় খাত হলো চামড়া শিল্প। বর্তমান বিশ্বে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে এ খাতে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হালিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ।
ইআরএফর সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া শিল্পের কাঁচামালে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু দেশীয় চামড়াজাত পণ্যের অনুকূলে লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) ছাড়পত্র না থাকায় আমাদের রফতানি বাড়ছে না। যেহেতু চামড়া খাতে রফতানি বাড়াতে হলে প্রথমেই এলডব্লিউজি’র সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে, তাই চামড়া শিল্প খাতে সরকার কোনো ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দেবে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার আপনাদের সব সুবিধা দেবে। এই সরকার শিল্পবান্ধব, তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন জনগণকে জিম্মি করতে না পারে সেদিকে সরকার লক্ষ্য রাখবে।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বিশ্বব্যাপী চামড়াজাত ও পাদুকা পণ্যের দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে।
বিশ্বে সব ধরনের তৈরি পাদুকার উৎপাদনের হার সাত বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালে ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১৩৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দাঁড়িয়েছে।
শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতে প্রত্যক্ষভাবে ৬ লাখ এবং পরোক্ষভাবে আরও ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশের মোট রফতানি পণ্যর মধ্যে এই খাতের অবদান ৪ শতাংশ। আর জিডিপি‘র দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।