শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১১৯৭ কোটি টাকা পাচার, গ্রেফতার ২
২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:১০
ঢাকা: পোল্ট্রি মেশিনারিজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে মদ, সিগারেট ও ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অন্যতম মূল হোতা দিদারুল আলম ও আব্দুল মোতালেবকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। দীর্ঘদিন ধরে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে তারা ওই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজধানীর বিজয় নগরের মাহাতাব সেন্টার থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দিদারুল ও মোতালেব ১৫টি মানি লন্ডারিং মামলার আসামি। তাদের আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। তারা সবাই মিলে মেসার্স অ্যাগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি, হেনান আনহুই অ্যাগ্রো পলিসি ও হেব্রা ব্র্যাংকো নামে তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে পোল্ট্রি ফিড মেশিনারি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলে। কিন্তু আমদানি করে বিপুল পরিমাণ মদ, সিগারেট ও ফটোকপিয়ার মেশিন। দীর্ঘ দিন ধরে ১২১টি কন্টেইনারে এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১১৯৭ কোটি টাকা পাচার করেছে।
সহিদুল ইসলাম আরও বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা চলতি বছরের ৭ নভেম্বর ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে মেসার্স অ্যাগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি’র বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ৯টি মামলা দায়ের করে। একই দিনে ৪৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসির বিরুদ্ধে একই থানায় দায়ের করা হয় ছয়টি মামলা। পাঁচ দিন পর ১২ নভেম্বর পল্টন থানায় ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে হেব্রা ব্র্যাংকোর বিরুদ্ধে আরও সাতটি মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিদারুলের সহযোগী কবীর হোসেনের নামে গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর থানায় ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করে।
মদ আমদানি মানি লন্ডারিং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর শুল্ক ফাঁকি সিগারেট আমদানি