ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৬ষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৭
ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৬ষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। লিভারপুলে ডাচ তারকা ভ্যান ডাইক ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেছনে ফেলে ব্যক্তিগত সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি ঝুলিতে ভরেছেন এই আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ক’দিন থেকেই অবশ্য পুরস্কারটিকে নিয়ে বেশ গুঞ্জন চাউর হয়েছে বিশ্ব ফুটবলে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে ব্যালন ডি’অর নিয়ে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্যে সরগরম ছিল ফুটবল বিশ্ব। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্যারিসে সব গুঞ্জনকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন এলএমটেন।
বলতে গেলে দীর্ঘ ৪ বছরের অপেক্ষার পর আবারও পুরস্কারটি জিতলেন লিও। এ বছরেই এর আগে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারটিও ঘরে তুলেছিলেন এই খুদে ফুটবল জাদুকর। দেখার অপেক্ষা ছিলো ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটিও কার ঝুলিতে যাচ্ছে!
২০০৯ থেকে শুরু করে টানা চার বার বর্ষসেরা হয়েছিলেন মেসি। প্রথমবার পুরস্কারটা ছিল শুধু ব্যালন ডি’অর, পরের তিন বার নাম বদলে ফিফা ব্যালন ডি’অর। চার বছর পর ২০১৩ সালে মেসিকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে সেখানে বসেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের বছরও ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটা রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গারেরই ছিল। ২০১৫ সালে মেসি সেই সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলে তার পরের দু’বার সেটি বগলদাবা করেন সিআরসেভেন। পর্তুগিজ সুপারস্টারের সঙ্গে আর্জেন্টাইন জাদুকরের এক দশকের আধিপত্যে প্রথম হানা দিয়ে গতবছর চমকে দিয়ে পুরস্কারটি ঘরে তুলেছিল লুকা মদ্রিচ। এবার সেরা ৩০ জনের তালিকাতেও স্থান হয়নি এই ক্রোয়েশিয়ানের।
এবারের তালিকায় ফেভারিট মেসি গত মৌসুমে অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন। লা লিগার শিরোপা অর্জনের পাশাপাশি কোপা দেল রে কাপের ফাইনাালে তুলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে গত মৌসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ৫০ ম্যাচে গোল করেছেন ৫১টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১২ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি। তবে কোপা আমেরিকায় বিতর্কিত ম্যাচে দেশের হয়ে সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিলো মেসিকে।
অন্যদিকে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলকে শিরোপা জেতানোর পেছনে অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন ভ্যান ডাইক। মূলত এবার মেসি ও ভ্যান ডাইকের মধ্যেই চলছিলো সর্বোচ্চ দ্বৈরথটি। তবে পুরস্কার বিতরণী জমকালো এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রোনালদো। এর আগেও ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না এই পর্তুগিজ তারকা।
এদিকে সেরা গোলকিপারের পুরস্কারটি গিয়েছে লিভারপুল এবং ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ঝুলিতে। বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন ও ম্যানচেস্টার সিটির এদারসনকে পেছনে ফেলে সেরার খেতাব বাগিয়ে নেন তিনি।
সেই সাথে সেরা নারী ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার মেগান রাপিনো। ২০১৯ নারী বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য এর আগে তিনি জিতেছিলেন গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন শু। তাই এইবার ফিফা দ্যা বেস্ট নারী ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন এই ফুটবলার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও এক ভিডিও বার্তায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জানিয়ে রাখা ভালো যে, ১৯৯১ সাল থেকে ফিফা বিশ্ব বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। ২০১০ সাল থেকে সেটিই পরিবর্তিত হয় নামকরণ করা হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর।