Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ফিলিপাইনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ


৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০২

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব প্রক্রিয়াই সমানতালে চালিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। আর এই সংকট সমাধানে আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্র ফিলিপাইনের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান। তার আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় ফিলিপাইনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় (ফরেন অফিস করসালটেশন) বৈঠক করেন মাসুদ বিন মোমেন।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ফিলিপাইনের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের সহকারি সচিব মেইনার্দো এলবি মন্টিলাগ্রি প্রতিনিধত্ব করেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মাসুদ বিন মোমেন। প্রায় চার বছর পর দুদেশের মধ্যে দ্বিতীয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বৈঠক শেষে সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা সব প্রক্রিয়াই সমানতালে চালিয়ে যেতে চাই। কেননা এটি একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান দ্বিপাক্ষিকভাবেই করতে হবে। আর ত্রি-পক্ষীয় বিষয়টি হচ্ছে, চীন এই সংকট সমাধানে আমাদের সঙ্গে গ্যারান্টর হিসেবে কাজ করছে। আমরা চীনের ওপরও আস্থা রাখতে চাই। এছাড়া এই সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপাইন আসিয়ানভুক্ত দেশ। সে কারণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি যে, তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের যেন সাহায্য করে। মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের মাঝে আস্থা অর্জন বা ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে আসিয়ানের আহা সেন্টার মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আমরা আহা সেন্টারকে এই বিষয়ে আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের বলেছি। দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর জন্যও আমরা ফিলিপাইনের সহায়তা চেয়েছি।’

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আজকে প্রায় চারবছর পর দুদেশের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস করসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক খুবই ফলপ্রসু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ আছে। অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকবিলার ক্ষেত্রে দুদেশের একইরকম অভিজ্ঞতা। তাই এসব বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আরও শক্তিশালী হতে পারি। এছাড়া সেবিকা (নার্সিং), কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে ফিলিপাইনের ভালো দক্ষতা রয়েছে, যা থেকে আমরা কীভাবে সহযোগিতা বা উপকৃত হতে পারি সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

‘দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শক্তিশালী করতে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এবং ফিলিপাইনের চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমাঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। আবার কয়েকটি এমওইউ’র ড্রাফট আমরা দুইদেশই নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যতে স্বাক্ষরের জন্য বিনিময় করেছি। আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’- বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

ফিলিপাইন রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সহযোগিতা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর