বিমানে ১১৮ কোটি টাকার দুর্নীতি: ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেফতার ২
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫২
ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো শাখার কর্মকর্তারা লাভবান হতে নন-শিডিউল ফ্রেইটারদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে সরকারের ১১৮ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৮ টাকার ক্ষতি করেছেন। সেই অভিযোগে বিমানের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে দুদক সজেকা ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামি ১৬ জন হলেন— বিমানের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) ও পরে মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের পরিচালক (বর্তমানে অবসর) মোহাম্মদ আলী আহসান, বিমানের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) মো. আরিফ উল্লাহ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (রফতানি, কার্গো, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম (বাণিজ্যিক-কার্গো শাখা, বর্তমানে বর্তমানে কান্ট্রি ম্যানেজার দাম্মাম, সৌদি আরব), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক আমিনুল হক ভূঁইয়া (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে রিজিওনাল ম্যানেজার, সৌদি আরব), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার (কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজিব হাসান (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন তালুকদার (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক অনুপ কুমার বড়ুয়া (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে কার্গো আমদানি শাখা), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমদ পাটওয়ারি (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে পিআরএল), সাবেক ব্যবস্থাপক এ কে এম মঞ্জুরুল হক (আমদানি, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।
এই ১৬ আসামির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে দুদক। তারা হলেন— বিমানের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) ও পরে মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী আহসান এবং সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (রফতানি, কার্গো, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ইফতেখার হোসেন চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নন-শিডিউল ফ্রেইটারদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে ৪ হাজার ১১৫টি নন-শিডিউল ফ্রেইটারের পরিবহন করা ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কেজি কার্গো ও মেইলের বিপরীতে জিএইচসি (গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং কমিটি) ২০১২ সালের ২৪ মে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্গো ও মেইল হ্যান্ডেলিং চার্জ আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ৪ হাজার ১১৫টি নন-শিডিউল ফ্রেইটারের পরিবহন করা ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কেজি কার্গো ও মেইলের বিপরীতে জিএইচসি চার্জ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পযন্ত মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৮ টাকা আদায়যোগ্য। কিন্তু আসামিরা সেই টাকা আদায় না করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তথা সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। সে কারণে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
১১৮ কোটি টাকা দুর্নীতি বিমান বাংলাদেশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স