বিকাশ করার কথা বলে পুলিশে ফোন, রক্ষা পেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গভীর রাতে প্রাইভেট কার আটকে ছিনতাইয়ের সময় কৌশলে পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করে রক্ষা পেয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার গণি বেকারির মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেফতার দুজন হলেন— গণি বেকারির কর্মচারী মো. মুন্না (২৮) ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান (২৯)।
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে জানান, সোমবার রাতে প্রাইভেট কার চালিয়ে গণি বেকারির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকানি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিস উর রহমান (২৪)। অন্ধকার স্থানে দু’জন মোটরসাইকেলে এসে কারের গতিরোধ করে। মুন্না তাকে গাড়ি থেকে নেমে আসার নির্দেশ দেয়। কিন্তু নাফিস গাড়ির ভেতরে বসে থাকলে মিজান এসে গাড়ির ভেতরে বসা অবস্থায় তার কলার চেপে ধরে তাকে চড়-থাপ্পড় দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দু’জন মিলে মারধর করে এবং কোমরে হাত দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখায়। তারা পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। নাফিস টাকা নেই জানালে তারা বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনার কথা বলে। তখন নাফিস কৌশলে কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে ফোন করেন।
পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ এক লোক ফোন করে আমাকে বলে, বিকাশে ৫ হাজার টাকা দ্রুত পাঠা। না হলে আমাকে ছাড়বে না। আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে আস্তে করে জিজ্ঞেস করি, আপনি কোথায় আছেন? তখন তিনি জানান, গণি বেকারির মোড়ে আছেন। আমরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রথমে মুন্নাকে আটক করি। পালিয়ে যাওয়ার সময় মিজানকে দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে আটক করি।’
আটক দু’জনের বিরুদ্ধে নাফিস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গণি বেকারি ও আশপাশের এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চকবাজার থেকে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে হয়ে গণি বেকারির মোড় থেকে দেওয়ান বাজার ও সিঅ্যান্ডবি অফিসের সামনে পর্যন্ত এলাকায় প্রায়ই সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব এলাকা কিছুটা অন্ধকার হওয়ায় এর সুযোগ নেয় ছিনতাইকারীরা। মুন্না ও মিজান ওই এলাকার সক্রিয় ছিনতাইকারী। চকবাজার ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগ নেতার আশ্রয়ে থেকে এরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।