মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন প্রচারে পাশে থাকবে গণমাধ্যম
৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:২৫
ঢাকা: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন। আর এই কাউন্টডাউনের ব্যাপারে সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।’ এসময় সিনিয়র সাংবাদিকরা জানান, কাউন্টডাউন প্রচারে গণমাধ্যম উদযাপন কমিটির পাশে থাকবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা হয়। সভায় সিনিয়র সাংবাদিকরা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সবার মতামত শোনার পর উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকরা জানতে চান, মুজিববর্ষের কাউন্টডাউনের জন্য একটি কমন লোগো ও কাউন্টডাউন ঘড়ির ডিজাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় দেওয়ার পরিকল্পনা উদযাপন কমিটির আছে কি না। জবাবে উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের জানান, তাদের পক্ষ থেকে নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য লোগো ও ঘড়ির ডিজাইন পাঠানো হবে।
কাউন্টডাউন উপলক্ষে প্রতিটি মিডিয়ার নিজেদের মতো করে বৈচিত্র্যপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি এবং সেগুলো প্রচার, প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত— সারাবাংলা ও জিটিভি’র এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার এমন মতের পরিপ্রেক্ষিতে কামাল আব্দুল নাসের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবার নেতা। তাকে নিয়ে সবারই নিজস্ব ভাবনা থাকবে, নিজস্ব চিন্তা থাকবে। সে কারণে আমরা যেটা সরবরাহ করব, সেটা প্রচার-প্রকাশের পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলো নিজেদের কনটেন্টগুলোও প্রচার-প্রকাশ করতে পারবে। এই জায়গাটি আমরা সবার জন্য ওপেন রাখব।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কাউন্টডাউনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কামাল আব্দুল নাসের জানান, মহানগর, জেলা, উপজেলা ছাড়াও বিশেষ দু’টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর।
‘এ দু’টি জায়গা কাউন্টডাউনের অন্তর্ভুক্ত না করলে আয়োজন অসমাপ্ত থেকে যাবে ‘— বলেন কামাল আব্দুল নাসের।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন, ক্ষণ ও সময়কে কাউন্টডাউনের আওতায় আনার জন্য ব্রিটিশ রয়েল এয়ারওয়েজের প্লেন ভাড়া করে যুক্তরাজ্য থেকে নয়া দিল্লি হয়ে ডিজিটাল ঘড়ি ঢাকায় আনা, ডিজিটাল ঘড়ির পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতে বিশালাকৃতির বালুঘড়ি তৈরি করা, কাউন্টডাউনের ৫৫ দিনব্যাপী হাতিরঝিলের ভাসমান মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ নানা ধরনের মতামত আসে সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছ থেকে।
এসব মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, মুজিববর্ষের মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ থেকে। ওই দিন থেকে পুরো একবছর চলবে এ আয়োজন। আমরা যদি কাউন্টডাউন করতে গিয়ে সব শক্তি ক্ষয় করে ফেলি, তাহলে মূল আয়োজনের সময় শক্তি খুঁজে পাব না। সুতরাং কাউন্টডাউনের আয়োজনকে মহড়া হিসেবে নিয়ে মূল আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
কাউন্টডাউন জন্ম শতবার্ষিকী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ