Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাহজালালে ৩৮তম বারে ধরা পড়লেন মুদ্রা পাচারকারী


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:২৯ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩১

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শুল্ক গোয়েন্দাদের ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত মুদ্রা পাচার করতেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ৩৮তম বারে ধরা পড়লেন শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে।

শুক্রবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ কামরুল ইসলাম নামে ওই যাত্রীকে আটক করে।

এ সময় তার কাছ থেকে ৭০ হাজার সৌদি রিয়াল ও দুই হাজার ২০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুদ্রাপাচারের কথা অস্বীকার করলে, তাকে তল্লাসী করে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা বৈদেশিক মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে।

মইনুল খান বলেন, কামরুলের পাসপোর্ট চেক করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চারবার এবং ২০১৭ সালে মোট ৩৩ বার সে বিদেশ ভ্রমণ করেছে।

আটক কামরুল বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরে। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় তিনি ওডি-১৬৫ ফ্লাইটে করে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন। আগে থেকে খবর পেয়ে তার ওপর নজর রাখে শুল্ক গোয়েন্দারা। এরপর তিনি ৮ নম্বর গেইট দিয়ে তার বোর্ডিং সম্পন্ন করলে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আছে কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে তার দেহ তল্লাশি করলে বিশেষভাবে লুকায়িত এ সব মুদ্রা পাওয়া যায়। এ সব মুদ্রা তিনি কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই বহন করছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল ইসলাম শুল্ক গোয়েন্দাদের জানান, তিনি বাংলাদেশ থেকে মুদ্রা নিয়ে মালয়েশিয়ায় বিক্রি করেন এবং দেশে ফেরার সময় ল্যাপটপ, কসমেটিকস, সিগারেট ইত্যাদি নিয়ে আসেন।এর আগেও সে এভাবে ১০ থেকে ১১বার বিদেশীমুদ্রা বহন করেছিলেন বলে স্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশী টাকায় এর মূল্য প্রায় ১৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ঘোষণা ছাড়া এই পরিমাণ অর্থ বহন এবং তার তথ্য লুকানোর কারণে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ও শুল্ক আইন ভঙ্গ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আটককৃত যাত্রীকে শুল্ক আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হবে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর