আলু রফতানি করবে সরকার, সহায়তা দেবে পেঁয়াজ চাষিদের
৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:০৪
ঢাকা: আগামী মৌসুম থেকে গোল আলু রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, পেঁয়াজের সংকট মেটাতে আগামী মৌসুমে আরও বেশি দেশি জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলু রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈঠকে আলু রফতানি বাড়াতে রফতানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। ফ্রাই ও চিপসের জন্য উন্নত জাতের আলু আবাদের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, উন্নত আলু প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করলে তাতে মূল্য সংযোজিত হয়, যা এই শিল্পকে লাভজনক করে তুলবে।
আলু রফতানির ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আলু রফতানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হবে। আলু চাষিদের আর্থিক সংকট মেটাতে প্রয়োজনে প্রণোদনাও দেওয়া হবে। আলু রফতানিতে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবও স্থাপন করবে। এ পর্যন্ত ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রফতানি উপযোগি আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারর্মিংয়ে যেতে হবে। সরকার রফতানি উপযোগী আলুর বিজ অবমুক্তির তিন বছরের সময়সীমা তুলে নিয়েছে, এখন যে কেউ রফতানি উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে পারবে। তবে রোগ-বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে। যেকোনো মূল্যে আলু রফতানি করতে হবে। বর্তমানে আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ হারে বাড়ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রফতানির জন্য যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তা পূরণ করে রফতানির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আলু রফতানি হচ্ছে, সেসব দেশে কী জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে, তা জানতে হবে এবং আমাদের দেশে সেসব জাতের আলুর আবাদ করতে হবে।
পেঁয়াজ চষিদের সহায়তা দেবে সরকার
চলতি বছরে পেঁয়াজের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তবে এরকম সংকট যেন ভবিষ্যতে আর তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর, মেহেরপুর ও পাবনা জেলায় পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়। সামনের মৌসুমে এসব এলাকায় যেন আরও বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পেঁয়াজ চাষিদের জন্য প্রণোদনা আগের চেয়ে বাড়ানো হবে, আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে। এছাড়া পেঁয়াজ যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য সংরক্ষণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদ জানান মন্ত্রী।
ফাইল ছবি
আলু রফতানি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক পেঁয়াজ চাষ পেঁয়াজ চাষিদের সহায়তা