খালেদাকে বন্দি করায় সরকারের ব্যাপক ক্ষতি: অলি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:৩২
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: খালেদা জিয়াকে বন্দি করায় সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার নয়াপল্টনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে শরিক হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কর্নেল (অব.) অলি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লংঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করায় কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য সরকার মাসুল দিতে হবে।
আগামী এক বছর বাংলাদেশ সংকটকাল অতিক্রম করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছে। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে; প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার হচ্ছে মানুষ।’
অলি আহমেদ বলেন, ‘সব কিছু দলীয় করণের ফলে গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায় ‘
খালেদা জিয়াকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধীদলীয়। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে জেল দেওয়া হয়েছে।’
কর্নেল (অব.) অলি বলেন, ‘সরকার মনে করেছিল এ কাজের মাধ্যমে তারা বাহবা পাবে। কিন্তু আমি মনে করি এ সিদ্ধান্ত সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে কোনো বিবেকবান ব্যক্তিই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার শাস্তি মেনে নিতে পারেনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড