ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের শেয়ারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসই’র ৫৪ শতাংশ শেয়ার ইউনিটের দাম কমেছে। অন্যদিকে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেছে ৮০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ডিএসই সূত্র সারাবাংলাকে এই তথ্য জানায়। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ ৩০টি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। পাঁচটি ব্যাংকের শেয়োরের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাকি ২৪টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে।
অন্যদিকে ব্যাংক বহির্ভূত ২২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র একটির। তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশিষ্ট ১৮টি আর্থিক খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের সার্বিক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সুশাসনের অভাবে অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো তারল্য সংকটে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪৬টি কোম্পানির ১৭ কোটি ৭৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির। দিন শেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩২ কোটি ৪১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৭১ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬০৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো— এসকে ট্রিমস, সায়হাম কটন, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ইন্দো-ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স ও বীকন ফার্মাসিউটিক্যাল।