Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী!


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:৫২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘বহুদিন এক জায়গায় থাকলে পচন আসে, আমি এবার সত্যিকার ভাবেই অবসরে যেতে চাই’ বলেন  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শনিবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে চাই না। অবসর সময় কাটাতে চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে না করার সুযোগ থাকে না। এ বিষয়ে আগামী এপ্রিলে জানাতে পারব।’

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আজকে সকালে পত্রিকায় দেখলাম এ দেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়েছেন, দুজন ব্যক্তিকে যেখানে দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ না, সে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিতে। সে দুজন ব্যক্তির একজন আমার বন্ধু, আমাদের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি আমি, আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী।’

তার সম্পর্কে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, হ্যাঁ দেশে কিছু কাজটাজ করেছেন, কিন্তু ‍যদি অবসর না নেন, তাহলে নিরাপদ মন্ত্রণালয়ের কোথাও পাঠিয়ে দিতে। আমার প্রথমে মনে হয়েছিল আজকে এখানে বক্তব্য করবো রিটায়মেন্টের ওপরে। রিটায়ারমেন্ট কখন করা উচিত এবং কিভাবে নেয়া উচিত, সেই সম্বন্ধে আজকে বক্তব্যটি রাখবো। তার আর একটি বিশেষ কারণ হলো আমি এখন সত্যিকারভাবে জানি, আমি রিটায়ারমেন্ট করতে যাচ্ছি। এই বছরেই রিটায়ারমেন্ট করবো, ডিসেম্বরে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনে হয় সে রকম রিটায়ারমেন্টের ধারণা নেই। না হলে তাকেই উপদেশ দিতে চেয়েছিলাম যে, কোনো একটা সময় আসে বোধহয় তখন রিটায়ারমেন্ট করাটাই আমাদের জন্য ভালো এবং রিটায়ারমেন্টে যে ভাবে থাকা যায়, সে ভাবেই আমাদের থাকা উচিত।’

বিজ্ঞাপন

‘ক্যারিয়ারে বহুদিন থাকলে নিশ্চয় পচন আসে। সেই পচনের পরিণতিটা মানুষের মধ্যে বেশি পরিমাণে। সুতরাং আমরাও সে রকম ধরনের চিন্তাভাবনা করি। এইবারে আমি সত্যিকারভাবে অবসরে যাচ্ছি, আগামী ডিসেম্বরে (১১ মাস বাকি আছে)’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

এ ছাড়া ব্যাংক সেবার বিষয়ে মুহিত বলেন, আমাদের দেশে ব্যাংকিং সার্ভিস ততোটা প্রসারিত হয়নি। আমাদের ব্যাংকের শাখা আরও বাড়ানো উচিত। কারণ ব্যাংকে যত বেশি লোককে জড়িত করতে পারবো, তত বেশি আর্থিক কর্মকান্ড শক্তিশালী হবে। আর্থিক কর্মকান্ড যত শক্তিশালী হয়, ততই দেশের উন্নয়ন হয়।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর