জন্মভূমিতে প্রত্যাখ্যাত মির্জা ফখরুল, এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:০০
ঠাকুরগাঁও: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রত্যাখান করেছেন। তিনি এখন বগুড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু থাকতে পারে না।
ঠাকুরগাঁওবাসী সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, এখানে (ঠাকুরগাঁও) বিএনপি মহাসচিবের জন্ম। কিন্তু তার লজ্জা পায় না। তাদের (বিএনপি) ভেতরে লাজ্জা বোধ নেই। বিএনপির দুই কান কাটা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যার এক কান কাটা, সে হাঁটে রাস্তার এক পাশ দিয়ে। আর যার দুই কানই কাটা, সে লজ্জায় মাথা খেয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে। বিএনপি চেয়ারপারসন দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি। আইনি লড়াই করেও তারা প্রমাণ করতে পারেনি খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেননি।’
ঠাকুরগাঁওয়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো কমিটিতে যেন অনুপ্রবেশকারী না থাকে। অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে। নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাদের জন্য দলের দরজা খোলা রাখতে হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলের সহ-সম্পাদক নাইমুজ্জামান মুক্তা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তবাসসুম জুঁই।
সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টো। সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সভাপতি দবিরুল ইসলাম।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি দল দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও থেকে বিতারিত একজন মানুষ। সমগ্র বাংলাদেশকে যিনি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নামক একটি চক্র যাদের নির্মূল করতে হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ৭৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।