Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একমাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা তীরে ছাড়পত্রহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ


৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:০৫

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার দুই তীরে পরিবেশ অধিফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য পড়ছে, সেসব প্রতিষ্ঠান একমাসের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ অধিদফতরকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়া ওয়াসার সব সুয়ারেজ লাইন সরাতে ঢাকা ওয়াসাকে ছয় মাস সময় দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

ওয়াসার পক্ষে ছয় মাস সময় চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ করে আদালত আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে একমাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

এদিকে, বুড়িগঙ্গায় ঢাকা ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ পতিত হয়নি উল্লেখ করে গত ১৮ জুন ওয়াসার পক্ষ থেকে দাখিল করা লিখিত বক্তব্যের বিষয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

এ বিষয়ে আদালত বলেছেন, সুয়ারেজ লাইন সরানোর ওপর নির্ভর করে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। এছাড়া একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন।

ওয়াসার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন অ্যাডভোকটে উম্মে সালমা। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

গত ১৮ জুন ওয়াসার দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ লাইন নেই। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ৬৭টি স্থান দিয়ে বর্জ্য পড়ছে। এর মধ্যে ওয়াসার লাইন ১৬টি। ওয়াসার এই দুই ধরনের প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় ওয়াসা ওইদিন তাদের ২ ডিসেম্বর দেওয়া প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং আজ নতুন করে জবাব দাখিল করে। এই জবাবে ১৮ জুনের প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সুয়ারেজ লাইন সরাতে ছয় মাস সময় চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে আদালত উল্লেখিত আদেশ দেন।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

এছাড়া নদীর পানি যাতে দূষিত না হয়, সেজন্য সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনো কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে., যা নদীর পানিকে দূষিত করছে। এ কারণে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয়।

ঢাকা ওয়াসা পরিবেশ অধিদফতর বুড়িগঙ্গা বুড়িগঙ্গা তীর বুড়িগঙ্গা দূষণ শিল্প প্রতিষ্ঠান সুয়ারেজ লাইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর