Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অধ্যাপক ড. অজয় রায় আর নেই


৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:০১

ঢাকা: খ্যাতনামা পদার্থ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ড. অজয় রায় মারা গেছেন। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ট ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, জঙ্গিদের হাতে নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অজয় রায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এ ছাড়া মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি।

অজয় রায়ের ছেলে প্রবাসী লেখক অভিজিৎ রায় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তার বাবা। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেন।

অধ্যাপক অজয় রায় ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে সেখানেই করেন পোস্ট ডক্টরেট। ১৯৬৭ সালে শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের যোগ দিয়ে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী নৃশংস গণহত্যা শুরু করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসস্থল ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই পদার্থ বিজ্ঞানী।

তিনি প্রাথমিকভাবে কুমিল্লার সোনামুড়া বর্ডারে যুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং একাধিক অপারেশনে অংশ নেন। তিনি পরবর্তীকালে আগরতলা হয়ে কলকাতায় যান। সেখানে তিনি মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সাম্মানিক সদস্য হিসবে নিয়োজিত ছিলেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের উত্তরসূরী হিসবে একাত্তরের মে মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শিক্ষকদের মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা রাখেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক অজয় রায় বাংলাদেশে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ গড়ে তোলেন। তিনি মুক্তমনার উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করেছেন।

অধ্যাপক অজয় রায় একুশে পদক, এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পাওয়া একজন গবেষক।

অজয় রায় অভিজিৎ রায়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর