‘উগ্রবাদ নির্মূলে সবার আগে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে’
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:০৬
ঢাকা: উগ্রবাদ দমনে সবার আগে সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না, পরিস্থিতি তাদের বিপথগামী করে তোলে।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯ এর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে যৌথভাবে সিটিটিসি, ইউএস-এইড ও ইউএন।
ড. শিরিন শারমিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো উগ্রবাদবিরোধী এই সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বার্তাটি সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সহিংস উগ্রবাদ বিশ্বে কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরণের উগ্রবাদ সমগ্র বিশ্বে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত। সেজন্য জাতিসংঘ থেকে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’
স্পিকার আরও বলেন, ‘কোনো মানুষ কিন্তু উগ্রবাদী হিসেবে জন্ম নেয় না কিন্তু কি কারণে তারা এই পথে যাচ্ছে সেগুলোও আমাদের খুঁজে বেড় করে সমাধান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। উগ্রবাদ দূর করতে হলে সর্ব প্রথম দারিদ্র্যতাকে দূর করতে হবে। পাশাপাশি টেরোরিস্ট ফাইন্যানসিং বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।’
অনুঠানের স্বাগত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সমন্বয়ের মাধ্যমে উগ্রবাদবিরোধী কাজ করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়নি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তা শুরু হলো। আলোচনার মাধ্যমে উগ্রবাদ দমন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে পূনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে বিপথগামীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘উগ্রবাদ শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পুরো বিশ্বের জন্য থ্রেট। উগ্রবাদ নির্মূলে নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের হাত ধরেই এই সংকট সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’ আন্তর্জাতিক অংশীজনদের উগ্রবাদ বিরোদী কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী বলেন, ‘তিন বছর আগে উগ্রবাদ এ দেশে মাথাচারা দিয়েছিলো। পরবর্তীতে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সেই পরিস্থিতির উত্তরণ হয়েছে। তবে উগ্রবাদবিরোধী এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’ আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া উগ্রবাদ দমন সম্ভব না বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর মিলার বলেন, ‘ইউএস সরকার উগ্রবাদ প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। উগ্রবাদ দমনে ইতিমধ্যেই ৩৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা করতে ইউএস সরকার প্রস্তুত রয়েছে।’