‘অজয় রায়ের মৃত্যুতে মুক্তবুদ্ধির চিন্তায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে’
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০১
ঢাকা: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের মৃত্যুতে মুক্তবুদ্ধির চিন্তায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শেষ বয়সে তার জীবনে সবচেয়ে আঘাত ছিল ছেলে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েছিলেন।’
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘অধ্যাপক অজয় রায় একজন খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতসম্পন্ন একজন মানবাধিকার নেতা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়াও অধ্যাপক অজয় রায়ের ছাত্র ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘অজয় রায় বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে নাগরিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তিনি তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মুক্তচিন্তার জগতে তিনি উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। তার বিদায়ের মাধ্যমে মুক্তচিন্তার জগতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ছেলে হত্যাকাণ্ডের শোক অজয় রায় সামলাতে পারেননি। তারপর থেকে তার শরীর ভেঙে যায়। এ অবস্থায় তাকে বারবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। এটি প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা বারবার দাবি জানিয়েছিলাম, ব্লগার হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার আদালতে করতে। কিন্তু সেটি হয়নি। হলি আর্টিজান মামলায় যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ব্লগার হত্যা মামলায় ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।’
সোমবার বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. অজয় রায়। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে রাখা হবে।