Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সেনাপ্রধান বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে ৯ বিষয়


১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০১

ঢাকা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সেনাপ্রধান পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নয়টি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত সড়ক, সীমান্তে স্থল মাইন ও ঘরে তৈরি বোমা (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি) স্থাপন, বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন, মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাদক কারখানার উপস্থিতি।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে গতকাল (৯ ডিসেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিয়ানমারে বিমান বাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুই সেনা প্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যে কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করছে তা তুলে ধরা হয়। এই সমস্যার সমাধানে শিগগিরি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আসিয়ানের আহা সেন্টার এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন ও ঘরে তৈরি বোমার (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি) উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আকাশ সীমা পেরিয়ে মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার প্রবেশ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ড্রোন পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় মিয়ানমার— জানায় সূত্র।

সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে মাদক প্রবেশের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানানো হলে মিয়ানমার আরও একবার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বিজ্ঞাপন

তারা জানায়, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করবে মিয়ানমার। যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল সন্ত্রাসী তৎপরতা নির্মূলে সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় মিয়ানমার।

তারা বলে, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন শক্ত অবস্থান নেয়, যেন সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে গিয়ে আশ্রয় নিতে না পারে।

এ সময় দু‘দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ বিনিময় কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়।

সম্পর্ক উন্নয়নে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) মিয়ানমার সফরে যান বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এর আগে সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, দুই দেশের মিলিটারি টু মিলিটারি সম্পর্ক কিভাবে বাড়ানো যায়, এই সফরের এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।

মিয়ানমার রোহিঙ্গা সংকট সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর