Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চা শ্রমিকরাও থাকবে না কুঁড়েঘরে : প্রধানমন্ত্রী


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৫৬

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : ‘দেশের কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবে না, কুঁড়েঘরে থাকবে না’ এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। আমরাও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। তারাও কুঁড়েঘরে থাকবে না।’

চা শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চা প্রদর্শনী-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

চা মালিকদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা শ্রমিকদের জন্য আমরা ঋণের ব্যবস্থা করে দেব। আপনারা কেউ যদি  এটা নিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য আবাসন করে দিতে চান সেটাও সম্ভব। চাইলে আপনারাও এ সহায়তা নিতে পারেন।’

চা উৎপাদনে বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমানের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বঙ্গবন্ধুকে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সত্যিকার অর্থে তখন থেকেই চা খাতের উন্নতি শুরু হয়।’

‘একাত্তরে অনেক নির্যাতন হয়। চা শ্রমিকদের অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যান। যে কারণে চা বাগানগুলো খুবই দুরবস্থার মধ্যে পড়ে। স্বাধীনতার পরে জাতির জনক চা বাগান পনুর্গঠনের ব্যবস্থা নেন। চা মালিকদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা নেন। তিনি ইন্ডিয়া থেকে সেই যুগে ৩০ লাখ টাকা রুপি নেন এবং তা চা মালিকদের দেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দেন। তিনি মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে গড়ে তুলেছিলেন। রাস্তাঘাট, সবকিছু বিধ্বস্ত ছিল। যুু্দ্ধ চলাকালে ফসল হয়নি। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে উন্নয়নের পথে যাত্রা করান।’

বিজ্ঞাপন

প্রথম সরকার গঠন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিই। চা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আজকে শুধু মালিকদের না, শ্রমিকদের কল্যাণে বহুমুখী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য ফান্ডও গঠন করা হয়েছে।’

চা শ্রমিকদের অবদান স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা পরিশ্রম করে, তারা খাটে। তাদের দিকে তো আমাদের নজর দিতে হবে। আমরা তাদের জীবনমান উন্নয়নে নানা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘চা প্রদর্শনী-২০১৮‘ এর উদ্বোধন করা হয়।  ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।

চা শিল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড দেশের জনগণের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে গত বছরের ১২-১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই কর্মসুচির আয়োজন করা হল।

অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশীয় চা সংসদ, এমএম ইস্পাহানি লিমিটেড, দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড (ফিনলে), আবুল খায়ের কনজিউমার প্রডাক্টস লিমিটেড, ডানকান ব্রাদার্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড, হালদা ভ্যালি টি কোম্পানি লিমিটেড, সিটি গ্রুপ ও ওরিয়ন গ্রুপ।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর