গৃহবধুর চুল কাটার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় আদালতের অসন্তোষ
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩০
ঢাকা: মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই সন্তানের জননীর মাথার চুল বটি দিয়ে কেটে দেওয়ার ঘটনায় এখনো চার আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের পক্ষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্টে বেঞ্চে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান আসামি জেল হাজতে আছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে তিনি বলেন, বুধবার এমন প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত বাকি চারজন আসামি আটক না হওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আদালত বলেছেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নজরে রাখবেন। আর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে অগ্রগতি জানাতে হবে।
প্রতিবেদনে পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, মামলার পর হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে আত্মগোপনে থাকা আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের গ্রেফতারের স্থানীয় এলাকায় একাধিক সোর্স নিয়োগ করেন। সোর্সের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, যে আসামিরা পল্টন ও মতিঝিল থানা এলাকায় অবস্থান করছেন। উক্ত তথ্য মোতাবেক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উল্লাপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন ও মতিঝিল থানা পুলিশের সহায়তায় আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক পুলিশি অভিযান পরিচালনা করে। প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে দেখা যায় আসামিরা ঘনঘন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। পুলিশি তৎপরতার কারণে এক নম্বর আসাামি মো. আব্দুর রশিদ ১০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উক্ত আসামিকে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দুই সন্তানের জননীর চুল কাটানোর ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ৮ ডিসেম্বর আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। পরে আদালত তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।