কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা : খালেদাকে ২৫ মার্চ হাজিরের নির্দেশ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:২৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেই দিন সব আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত ২ নম্বর বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম এই দিন নির্ধারণ করেন।
এ আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য আজ দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের দিন পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সব আসামিকে আগামী ২৫ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম প্যানেল আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আজ খালেদা জিয়াকে জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করেনি।
‘কারাগারে কোনো বন্দিকে অন্য মামলায় আদালতে আনতে পিডব্লিউ (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) দরকার হয়। কিন্তু বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় সে ধরনের কোনো আদেশ ছিল না।’
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।
মামলার আসামিরা হলেন বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআই/একে