যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৫৩
ঢাকা: বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া অনেক জটিল, যা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশের যারা যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে চান, তারা ওখানে গিয়ে থাকতে চান না। আমরা তো কোন ঝামেলা করি না। সুতরাং আমাদের জন্য ভিসা সহজ করা হোক।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কে বলেছি, আমাদের দেশের অনেক লোক ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চায়। কিন্তু তাদের ভিসা প্রক্রিয়া বেশ জটিল।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত একজন খুনি পালিয়ে আছেন। আমি আজও রাষ্ট্রদূতের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা তুলেছি। তিনি বলেছেন, মার্কিন বিচার ব্যবস্থা প্রশাসন এই বিষয়টি দেখছে।’
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। প্রতিবেশী ভারত ধর্মভিত্তিক যে নাগরিকত্ব বিল সম্প্রতি পাস করেছে এটা তাদের অবস্থানকে দুর্বল করছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বজুড়ে ১৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যার মধ্যে রাখাইনের গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের চার সেনা কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
মিলার বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন, সান, কাচিনসহ একাধিক রাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা অপরাধ। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের চার সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এই কর্মকর্তারা এখন থেকে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে এদের নামে কোনো সম্পদ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক এদের সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন বা বাণিজ্য করতে পারবে না।
গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের যে চার সেনা কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকাভুক্ত করেছে তারা হলেন- মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সোয়ে উইন, ৯৯ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং ৩৩ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং।