ডিএনসিসির ১৮টি ওয়ার্ড উন্নয়নে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫০
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসব ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২৫ জন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ১৩ জন করে মশক নিধন কর্মী কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএনসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রজাপতি গার্ডেন, সাতারকুল থেকে নতুন সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে এসে এসব জানান তিনি।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মশক নিধন কর্মীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, তারা কাজ করবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্বাবধানে। কাজে কোনো ফাঁকি দেওয়া যাবে না। সততার সাথে কাজ করতে হবে।
তবে, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে নাগরিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুধু পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উপর নির্ভর করে না, আমাদের মানসিকতার উপরও নির্ভর করে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার করবেন, আর অন্যরা রাস্তা-ঘাট ময়লা করবেন এটা কাম্য নয়। একশ ফিট রাস্তার ময়লা এরইমধ্যে পরিষ্কার করে দিয়েছি। আপনাদের তা ধরে রাখতে হবে।
মেয়র বলেন, সম্প্রসারিত এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শিগগিরি শুরু হবে। নতুন প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, কাঁচাবাজার ইত্যাদি থাকবে।
সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন ডিএনসিসির আওতাভূক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একসময় গুলশানও ইউনিয়ন ছিল, আমি চাই সাতারকুল এলাকা গুলশান থেকেও উন্নত হবে।
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র পাশেই সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। সেখানে ডিএনসিসির নিযুক্ত কচুরিপানা অপসারণ কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় মেয়র বলেন, এই সূতিভোলা খালটির মালিক ওয়াসা। আমরা লোক নিয়োগ করে খাল পরিষ্কার করে দিচ্ছি। শুধু আমরা পরিষ্কার করে দিলেই হবে না এজন্য প্রতিটি এলাকার মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিটি এলাকায় এরকম নোংরা খাল রয়েছে। আর এই খাল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। তাই আমরা এবার খাল পরিষ্কার করে ম্যালাথিউন ওষুধ স্প্রে করে দিচ্ছি। যেন উৎসেই মশা ধ্বংস হয়ে যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই।