Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদার মুক্তির দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৫৪

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।

রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা জেলা বিএনপি ও ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশফাকের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, বিএনপির নির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীবি, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম পল, রাশেদুল হাসান রাশেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি, ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম, ঢাকা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি নাজিম, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিদ খান, মহিলাদলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম দেশের বাইরে থাকায় এবং দক্ষিণের সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল আত্মগোপনে থাকায় তাদের পক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই তার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়টিও প্রহসনমূলক ও বিস্ময়কর। কারণ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তছরুপের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বেগম জিয়ার কোথাও কোনো স্বাক্ষর নেই। কোথাও তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

বিজ্ঞাপন

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও জুলুম অব্যাহত আছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই বলে দেয় তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত দূরভিসন্ধিমূলক রায়টি পেয়ে গেছে। কথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের হীন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই অংশ।

বহুদলীয় গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে আগামী নির্বাচন পুনরায় এতকরফাভাবে করতে একদলীয় দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করাই এদের মূল লক্ষ্য। এ ফরমায়েসি রায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক হিংসাশ্রয়ী পরিকল্পনা।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রামে অবিচল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকে কখনোই তার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। দেশে এক দুঃসহ অবস্থা বিরাজ করছে বলেই ন্যায়বিচার, ইনসাফ অদৃশ্য হয়ে গেছে।

বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেও তার ওপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। দুই শতাব্দীর প্রাচীন জনমানবহীন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি সেখানে কি অবস্থায় আছেন সেটি নিয়েও পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা। এক অমানবিক আদিম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বিজ্ঞাপন

বেগম জিয়ার উপর সকল প্রকার হয়রানি ও হেনস্থার অবসান ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য প্রহর গুণছে দেশবাসী। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা জেলা ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি এবং তার ওপর সব ধরনের নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য আপনার মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ঢাকা জেলা বিএনপি ও ঢাকা মহানগর বিএনপির কয়েক শ’ নেতাকর্মী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যানার নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করে। কিন্তু দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

একই কর্মসূচি সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে পালন করছে বিএনপি। স্থানীয় বিএনপির সুবিধা মতো সময় জেলা প্রসাককে স্মারকলিপি দিচ্ছে বিএনপি নেতারা।

সারাবংলা/এজেড/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর