Sunday 29 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাদক বিক্রেতার কাছে ঘুষ নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের মুখে এসআই


১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:১৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জে আটকের পরে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে দুই মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সূত্র জানিয়েছে, ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ভৈরব শহর ফাঁড়ির ইনচার্জ, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিমের বিরুদ্ধে বিভাগী তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পঞ্চবটি পুকুরপাড় এলাকায় একাধিক মাদক মামলার আসামি আলমের বাড়িতে অভিযান চালান এসআই সেলিম। সেখানে উপস্থিত আলম, সুমী, ফারুক, আলাদিন, আলিফ ও রোকনকে তল্লাশি করে পুলিশ। তবে তাদের কাছে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ তাদের আটক করতে চাইলে ১ লাখ টাকায় রফা হয়— সুমী ও আলমকে ছেড়ে দেওয়া হবে, বাকি চারজনকে ৩৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে। নগদ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসআই সেলিম চারজনকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সে সময় আলম ও সুমীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি টাকা আজ দুপুরে পরিশোধ করার কথা ছিল। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে এসআই সেলিম তড়িঘড়ি করে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেন বলে জানায় সূত্র।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত বোধ করেন আলম ও সুমী। তারা পুরো ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সুমী বলেন, ঘুষ নেওয়ার সময় কথা হয়েছিল আমাকে এবং আলমকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাকি চারজনকে ৩৪ ধারায় চালান দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী, রাতেই এসআই সেলিমকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কথা রাখেনি।

আলম বলেন, আমাদের কাছে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য ছিল না। যেহেতু আমরা আগে মাদক বিক্রি করতাম, তাই আমাদের গ্রেফতারের হুমকি দেয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে, আর হবে না।’

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় এসআই মো. সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, আটক চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তবে পুরো ঘটনা জেনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেছে। তাই এ বিষয়ে পুলিশই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ঘুষ পুলিশ বিভাগীয় তদন্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর