রায়ের কপি পেতে দেরির দায় বিএনপিরই, বললেন কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পেতে দেরি হওয়ায় বিএনপিকেই দুষছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক আলোচনা সভায় তিনি এ দোষারোপ করেন।

কামরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সার্টিফায়েড কপির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো দরখাস্ত করা হয়নি। তারা দরখাস্ত দিয়েছেন দুইদিন পর। অর্থাৎ অহেতুক তারা বিলম্ব করেছেন।’

একইভাবে কারাগারে খালেদা জিয়ার ডিভিশন প্রাপ্তির বিষয়েও বিএনপি দেরিতে দরখাস্ত দিয়েছে বলে অভিযোগ কামরুল ইসলামের। তিনি বলেন, দুই দিন পর ডিভিশনের দরখাস্ত দিয়ে বিএনপি নেতারা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেদিনই তাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন  রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি কক্ষে নেওয়া হয়। তখন থেকেই রায়ের সার্টিফায়েড কপির অপেক্ষা করছেন তার আইনজীবীরা।

এ প্রসঙ্গে কামরুল বলেন, ‘সার্টিফায়েড কপি তারা অবশ্যই পাবেন। তবে সেটা আদালত ভালো জানেন কবে দেবেন। সরকারের এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নাই’।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।

এসময় তিনি এও বলেন, ‘নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। এর কোন পরিবর্তন ঘটবে না। সুযোগও নেই।’

খাদ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অন্তিম ঘণ্টা না বাজাতে চাইলে নির্বাচনে আসুন।’

বিএনপি খালেদাকে ছাড়া  আসবে কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত, বলেন তিনি।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উশৃঙ্খলতার মাধ্যমে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী চেহারার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রোববার ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয় বিএনপি। এ সময় নেতাকর্মীরা মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কামরুল আরও বলেন, ‘বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নমুনা আজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেখিয়েছে। তারা যে উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী, সে চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তা তারা ঘটিয়েছে। তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, কোন ধরনের উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ্য করবে না। তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করবে।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু প্রমুখ।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমএইচ/একে