‘থার্টিফার্স্ট নাইট ও বর্ষবরণে উন্মুক্তস্থানে অনুষ্ঠান নিষেধ’
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫২
ঢাকা: থার্টিফার্স্ট নাইট ও বর্ষবরণ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সড়ক, ফ্লাইওভার ও উন্মুক্তস্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান না করতে বিধি-নিষেধ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে বার বন্ধ রাখার নিদের্শের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার কথাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বর্ষবিদায় ও বরণকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে উন্মুক্তস্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি একই ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সারাদেশের সব বার বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য বছরের মত বড়দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে ভুভুজেলা, আঁতশবাজি, পটকা ফোটানোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল চারটা থেকে পহেলা জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না ‘
এছাড়া আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর রাত আটটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ সময় স্টিকার ব্যতীত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।
দিবসটি উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো রকম আশঙ্কা রয়েছে কি-না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রকম আশঙ্কা নেই। প্রতিটি বিশেষ দিন, বড়দিন, কিংবা জাতীয় দিবসে অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে আমরা এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত আয়োজন করে থাকি; যাতে এ অনুষ্ঠানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সবাই পালন করতে পারেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট দুটি দিবসে খুব কাছাকাছি। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন যথাযথভাবে পালন করতে পারে এবং থার্টিফার্স্ট নাইট যাতে উশৃঙ্খলভাবে উদযাপন কেউ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আজকের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাতে যথাযথভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট চার্জ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকাসহ সারাদেশের প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি গির্জায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ও তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে তেঁজগাও, কাঁকরাইল মিরপুর-বনানী সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গির্জায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মেটাল ডিটেক্টর, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি থাকবে গির্জার প্রবেশ মুখে।
এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোলরুম রাখা হবে। বড়দিন ও থার্টিফাস্ট নাইটে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ ফায়ার ফাইটিংয়ের কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।