‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি’
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৭
ঢাকা: স্বাস্থ্য পরীক্ষার তিনটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ২০১৮ সালের পর থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনিত হয়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, আমি আদালতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার তিনটি রিপোর্ট পেশ করেছি। একটি ২০১৮ সালের রিপোর্ট, একটি এ বছরেরই কয়েক মাস আগের রিপোর্ট, আরেকটি গতকালের (বুধবার, ১১ ডিসেম্বর) রিপোর্ট। সবগুলো রিপোর্টের বক্তব্য, তার রোগের বর্ণনা, শারীরিক অবস্থার বর্ণনা একই রকম আছে। কোনো পরিবর্তন নেই।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগ থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বেগম জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট যেটা দাখিল করা হয়েছে, সেটা পড়ে শুনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি। যে রকম ছিল, সে রকই আছে।
সর্বশেষ মেডিকেল রিপোর্টে কী বলা আছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার দু’টো হাঁটুই রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। একটা ১৯৯৭ সালে, আরেকটা ২০০২ সালে। এটা ভালো হওয়ার মতো নেই। স্বাভাকিভাবে এত দিন পর রিপ্লেসমেন্টের কার্যকারিতা থাকে না। সেই ক্ষেত্রে এটার অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা নিতে হয়। কতগুলো বিশেষ ধরনের ইনজেকশন আছে, সেই ইনজেকশন দিতে হবে। কিন্তু তার অনুমতি না পেলে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিজন সেলে রাখার কথা। কিন্তু তাকে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। সেবা দান করার জন্য একজন সেবিকা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার দেখভাল করছেন। কিন্তু তার অনুমতি না পেলে উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না।
এর আগে, জামিন আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গত ৩০ বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিকস ও ১০ বছর ধরে হাইপার টেনশনে ভুগছেন। এছাড়া, তার হাঁটু প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট উদ্ধৃত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়ার বাতের ব্যথার অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের রোগের চিকিৎসা অ্যাভেইলেবল। কোনো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সব ধরনের সুবিধা আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা পদে থেকে তিনি যে আবেদন করেছেন, তা বিবেচনা করেই হাইকোর্ট জামিন দেননি। আশা করি আপিল বিভাগও তা বহাল রাখবেন।’
পরে আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। তবে খালেদা জিয়া রাজি থাকলে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট রিপোর্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষা স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন