Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মাত্র ৪.৫০ শতাংশ’


১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৫ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশের মূল বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ মাত্র ৪.৫০ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের বাজেট স্বাস্থ্যখাতে অনেক কম। এত অল্প বাজেট নিয়েও আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা ভালো কাজ করে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট অনেক কম। অল্প বাজেট নিয়েও আমাদের মতো এত ভালো কাজ করার ইতিহাস বিরল। এর সব অবদান আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রধানমন্ত্রী এগুলো খেয়াল রাখছেন। আমাদের বাজেট আগামীতে আরও ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের আশেপাশের দেশ-গুলোসহ উন্নত বিশ্বেও হয়নি এমনটি। আমরা প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা, জেলা হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এসব কাজগুলোকে আমরা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা হিসাবে ধরে নিতে পারি। এর অবদানস্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কার পেয়েছেন।

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর ব্যয়ভার কমানোর আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হলে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যয়ভার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের জন্য এই ব্যয়ভার মেটানো কষ্টকর। তাই রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যয়ভার কমানো উচিত।

তিনি বলেন, দেশের বিশাল সংখ্যক জনসমষ্টির স্বাস্থ্যসেবার দায়ভার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা নিতে পারবে না। কারণ, এর সাথে খাদ্য ও পরিবেশসহ নানা দিক জড়িত রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে। সেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। সেজন্য সবাইকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখনো আমাদের অনেক সমস্যা আর সংকট রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনবল সংকট। আমাদের হাসপাতাল আছে, যন্ত্রপাতি আছে কিন্তু এগুলো পরিচালনা করার মতো দক্ষ জনবল নেই। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামীতে কোন সংকট থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

চিকিৎসকদের উদ্দেশে সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ লোকই গ্রামে বসবাস করে। আমরা তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে শুধুমাত্র নামমাত্র সেবা দিলেই হবে না। সেখানে ভালো ও উন্নত সেবা দিতে হবে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের আর্থিক দিকটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। দেশের কথা ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষদের কথা চিন্তা করে সর্বোত্তম সেবাটাই আপনাদেরকে দিতে হবে। তবেই দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়িত হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী একেএম মহিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

বাজেট বরাদ্দ স্বাস্থ্যখাত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর