বাজারে নানা পেঁয়াজ, ক্রেতার আগ্রহ দেশিতেই
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২৯
ঢাকা: বাজারে এখন ৫০ টাকা কেজিতেও পেঁয়াজ মিলছে। সাদা রঙের বড় আকৃতির চীনা পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে বেড়েছে নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। ছোট আকৃতির নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এই দেশি পেঁয়াজের প্রতিই ক্রেতাদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তবে বাজারে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। দু’একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তার দাম পড়বে ২০০ টাকার ওপরে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
মিশরের কালো পেঁয়াজ (বড়)
কারওয়ান বাজারের আড়তে দেখতে অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো মিয়ানমারের ছোট আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৬ টাকা কেজিতে। কালচে রঙের বড় আকৃতির মিশরের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। আর প্রতিকেজি পেঁয়াজযুক্ত পাতা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
মুড়িকাটা পেঁয়াজ
এদিকে, শ্যামবাজারে চীনা পেঁয়াজ ৪০ টাকা, মিয়ানমার ৮০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা, মিশর ৭০ টাকা ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের আড়তদার ও শ্যামবাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী মাজেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন অনেক কমে গেছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় দাম কমেছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের সরবারাহও অনেক বেশি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের পেঁয়াজই চলছে। তবে নতুন দেশি পেঁয়াজ ও চীনা পেঁয়াজ বেশি চলছে।’
মিয়ানমারের পেঁয়াজ
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের বিক্রিতা আমিনুল বলেন, ‘বাজারে এখন পুরোনো দেশি পেঁয়াজ নেই। চীনা ও নতুন দেশি পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হচ্ছে। চীনা পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বিক্রি ভালো। ক্রেতারা নতুন দেশি পেঁয়াজ বেশি কিনছেন।’
আরেক বিক্রেতা সবুজ বলেন, ‘মিয়ানমারের দেশি পেঁয়াজ দেখতে অনেকটা দেশির মতোই। ঝাঁজও একই রকম। ফলে এই পেঁয়াজের ক্রেতাও বেশি। এছাড়া চীনের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিরও কম থাকায় বিক্রি অনেক ভালো। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজের ক্রেতাই সবচে বেশি।’
পেঁয়াজসহ পাতা (দেশি)
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফার্মগেটের সোহেল রানা বলেন, ‘বাসায় অনুষ্ঠান থাকায় ২০ কেজি চীনা পেঁয়াজ কিনেছি। আকারে বড় হওয়ায় এবং দাম কম থাকায় এই পেঁয়াজ নিয়েছি।’
বাজার করতে আসা গৃহিনী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘সব পেঁয়াজ প্রায় একই রকম। কিন্তু দেশি পেঁয়াজই বেশি খেয়ে থাকি। আজও নতুন দেশি পেঁয়াজ নিয়েছি। তবে অন্য সময়ের চেয়ে কম কিনেছি। কারণ বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ আসছে, হয়তো দাম আরও কমবে।’
চীনের বড় পেঁয়াজ
কারওয়ান বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে বাসায় ফিরছিলেন পল্টনের বাসিন্দা আব্দুর রহমান। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এক পাল্লা (৫ কেজি) নতুন দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ৫০০ টাকায়। পুরোনো দেশি পেঁয়াজের পাল্লা এখনও ১ হাজার ২০০ টাকা দাম হাঁকছে।’